• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ভোটগ্রহণের নতুন তারিখ ২৬ ডিসেম্বর

শাহরাস্তিতে চমক দেখিয়ে নৌকা পেলেন যারা

প্রকাশ:  ২৫ নভেম্বর ২০২১, ১২:০৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে শাহরাস্তি উপজেলার ইউপি নির্বাচনে  নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ২৩ নভেম্বর রাতে শাহরাস্তি উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বেশ কিছু ইউনিয়নে চমক দেখিয়েছে। বিশেষ করে দু’টি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান নৌকা থেকে বঞ্চিত হন। এছাড়াও কয়েকটি ইউনিয়নে চমক দেখিয়ে অনেকেই মনোনয়ন পেয়েছেন। শাহরাস্তি উপজেলার আলোচিত টামটা উত্তর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ ওমর ফারুক দর্জি এবার নৌকার জন্য আবেদন করেও ব্যর্থ হন। কারণ হিসেবে জানা যায়, গত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় তিনি মনোনয়ন পাননি। এ ইউনিয়নে নৌকা পেলেন প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবির মজুমদারের ছেলে আলমগীর কবির পলাশ। টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নেও রয়েছে চমক। বর্তমান চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা মানিক মনোনয়ন পাননি। সেখানে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ সফিকুর রহমান। মেহের দক্ষিণ ইউনিয়নে উপ-নির্বাচনে জয়ী রুহুল আমিন আবারো নৌকা পেয়েছেন। মেহের উত্তর ইউনিয়নে নৌকা পেলেন বর্তমান চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা মনির হোসেন। রয়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নে নৌকা পেলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ রাজ্জাক ও রায়শ্রী উত্তরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন মুশু। চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নে নৌকা পেলেন বর্তমান চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ পাটোয়ারী। চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নে চমক দেখিয়ে নৌকা পেলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর মোহাম্মদ আদেল। সূচিপাড়া উত্তরে আবারো নৌকা পেলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামাল মজুমদার। সূচিপাড়া দক্ষিণে চমক দেখিয়ে নৌকা পেলেন মাহতাব উদ্দিন হেলাল।
এদিকে নির্বাচন কমিশন ৪র্থ ধাপের ভোট গ্রহণের তারিখ ৩ দিন পিছিয়ে আগামী ২৬ ডিসেম্বর ঘোষণা করেছেন। আগামী ২৫ নভেম্বর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষদিন।
আজ ফরিদগঞ্জ মুক্ত দিবস
প্রবীর চক্রবর্তী ॥ আজ ২৫ নভেম্বর ফরিদগঞ্জ মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এইদিন তথা ২৫ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচ- প্রতিরোধের মুখে পাকিস্তান বাহিনী ফরিদগঞ্জ ছেড়ে চাঁদপুরে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও নিরস্ত্র জনতার প্রচ- প্রতিরোধে মুখে তারা সর্বশেষ এইদিন উপজেলার ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তায় নামক স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে পড়ে। সেখান থেকে চাঁদপুরে পালিয়ে যাওয়ার সময় পাক বাহিনী সাধারণ মানুষের উপর এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পিছু হটে। এ সময় পাকবাহিনীর গুলিতে বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ মৃত্যবরণ করে।
ফরিদগঞ্জের কৃতী সন্তান মুক্তিযুদ্ধের ৮নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার লেঃ কর্নেল (অবঃ) আবু ওসমান চৌধুরী ১৯৯৫ সালে ফরিদগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ১৯৭১ সালের শহীদ হওয়া মুক্তিযোদ্ধা ও নিরস্ত্র মানুষের স্মৃতি ধরে রাখতে শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ তৈরি করেন। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবছর ফরিদগঞ্জ মুক্ত দিবসে এখানেই শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করে।
দিবসটি উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচীর আয়োজন করে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ফরিদগঞ্জ পৌরসভা এবং সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করেছে। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স থেকে র‌্যালী করে শহীদ স্মৃতি সংসদে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন। পরে পৌরসভা মাঠে দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

সর্বাধিক পঠিত