• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

হাইমচরে মৎস্য ব্যাবসায়ীর মৃত্যু নিয়ে ধূ¤্রজাল ঢামেকের রিপোর্টে করোনায় তার মৃত্যু হয়েছে

প্রকাশ:  ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ১১:২৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

হাইমচরে বাচ্চু মোল্লা নামে একজন মৎস্য ব্যবসায়ীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলছে হত্যা, কেউ বলছে দুর্ঘটনায় মৃত্যু, স্বাভাবিক মৃত্যু, আবার বলছে করোনায় মৃত্যু। তবে এ নিয়ে মুখরোচক আলোচনা থাকলেও থানায় এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ দেয়া হয়নি।
জানা যায়, গত ২০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে নদীতে ইলিশ সংরক্ষণ কর্মসূচির নিয়মিত অভিযানে নামে উপজেলা মৎস্য র্কমর্কতা, পুলিশ ও কোস্টগার্ড। এ সময় হাইমচর বাজার মাছঘাটে ৫০০ কেজি জাটকা আটক করে। এ সময় অভিযানকারীদের সাথে কারো কোনোপ্রকার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্টরা জানান। পরে জানা যায়, অভিযানের সংবাদ শুনে জাটকা ক্রেতা-বিক্রেতারা দৌড়ে পালানোর সময় বাচ্চু মোল্লা নামে ওই মৎস্য ব্যবসায়ী কিছুর সাথে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত হন। তাৎক্ষণিক তাকে হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার সাথে সাথে শুক্রবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেয়া মৃত্যু সনদে বাচ্চু মোল্লা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন বলে উল্লেখ করা হয়। এদিকে তার মৃত্যর সংবাদের পর একটি মহল উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার লাঠির আঘাতে তার মৃত্যু হয় বলে প্রচার করতে থাকে।
অভিযানকালে উপস্থিত থাকা হাইমচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল মান্নান বলেন, আমরা এবং কোস্টগার্ডসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অভিযান চলাকালে ট্রলার থেকে নামার সাথে সাথেই ভয়ে জাটকা ক্রেতা এবং বিক্রেতারা ছোটাছুটি করতে থাকে। পরে আমাকে মৎস্য অফিসার বললেন জাটকার একটি গোডাউন পাওয়া গেছে। তারপর আমি এবং উনি একসাথে কয়েকটি ঘরে অভিযান চালাই এবং কয়েকশ’ কেজি জাটকা জব্দ করি। পরে ২০ মিটার দূরত্বে দেখতে পাই কয়েকজন মহিলা একজন পুরুষকে নিয়ে একটি বাড়ির উঠানে বসে রয়েছে। পরে ঐ বাড়ি থেকে বের হয়ে আসা একটি ১৮ বছর বয়সী বালককে জিজ্ঞেস করি যে ঐ লোকটির কী হয়েছে? বালকটি বললো উনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমি ওই বালকটিকে বলি দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেয়ার জন্যে।
এ ব্যাপারে হাইমচর উপজেলা সিনিয়র (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মৎস্য অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান জানান, ঐদিন আমরা থাকালীন এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে নি। আমার হাতে কোনো লাঠি ছিলো না। আমার সাথে হাইমচর থানার এসআই মোঃ আঃ মান্নান ও কোস্টগার্ড ছিলো। তারাও কাউকে আঘাত করতে দেখিনি। চলতি কম্বিং অপারেশন ও আসন্ন মার্চ-এপ্রিল জাটকা সংরক্ষণ অভিযান বাধাগ্রস্ত করতে এবং সরকারি কাজকে বিতর্কিত করতে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করছে বলে তিনি জানান।

 

সর্বাধিক পঠিত