• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

সিনিয়র সচিব হলেন মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী

প্রকাশ:  ১১ ডিসেম্বর ২০২০, ১২:১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

সিনিয়র সচিব হলেন ফরিগঞ্জের কৃতী সন্তান ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব মোহাম্মদ মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারী সিনিয়র সচিব হলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।

এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর তিনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে যোগদান করার পর সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২ মে তিনি পূর্ণাঙ্গ সচিব হিসেবে পদায়ন হন। এর আগে তিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব এবং জাতীয় যাদুঘরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ভূমি সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে তিনি উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের মাঠ প্রশাসনের কার্যক্রম আরও গণমূখী, সেবাধর্মী, গতিশীল, জবাবদিহিমূলক ও কার্যকর করণার্থে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও অন্যান্য কর্মকর্তার জন্যে ৫৭টি পরিপত্র জারি করেন।

দক্ষ, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও জনবান্ধব ভূমি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণে গতিশীল, দূরদর্শী, জনমুখী এবং সেবামুখী নেতৃত্বে ভূমি মন্ত্রণালয়কে TOP-৫ এবং সর্বোচ্চ TOP-১০ মন্ত্রণালয়/বিভাগের মধ্যে প্রতিষ্ঠায় বিশেষভাবে কাজ করেন। ই-নামজারি বাস্তবায়নের জন্যে বিশ্ব জুড়ে সরকারি খাতে গৃহীত সর্বোত্তম উদ্ভাবনী উদ্যোগগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে প্রথম অতি মর্যাদাপূর্ণ United Nations Public Service Award-২০২০" অর্জন করে ভূমি মন্ত্রণালয়।

৪৮৫টি উপজেলা এবং ৩,৬১৭টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ই-নামজারি বাস্তবায়নের কারণে জুলাই/১৯ হতে অক্টোবর/২০ পর্যন্ত মেয়াদে সারাদেশে অনলাইনে ই-নামজারির আবেদন প্রাপ্তি ২৯,৫৫,৭২৮টি। তন্মধ্যে নিষ্পত্তি ২৪,৮১,৪৬৭টি এবং অন্যান্য আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া সাধারণভাবে ২৮ দিনে, প্রবাসীদের জন্যে মহানগর এলাকায় ০৯ এবং অন্যান্য এলাকায় ১২ কার্যদিবসের মধ্যে ই-নামজারি নির্দেশনা দেন। ভূমি সংশ্লিষ্ট সকল সেবা 'হাতের মুঠোয় ভূমি সেবা' নামে মোবাইল সার্ভিসে রূপান্তরকরণে নিরলসভাবে কাজ করেন তিনি।

এছাড়াও দুর্নীতির বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স নীতি' হিসেবে ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রায় ১৮,০০০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারির সম্পদের হিসাব দিতে বাধ্য করেন তিনি।

তাঁর ত্বরিত পদক্ষেপের কারণে জুলাই/১৯ হতে অক্টোবর/২০ পর্যন্ত মেয়াদে সারাদেশে অনলাইনে ই-নামজারির আবেদন প্রাপ্তি ২৯,৫৫,৭২৮টি। তন্মধ্যে নিষ্পত্তি ২৪,৮১,৪৬৭টি এবং অন্যান্য আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। সাধারণভাবে ২৮দিন, প্রবাসীদের জন্য মহানগর এলাকায় ০৯ এবং অন্যান্য এলাকায় ১২ কার্যদিবসের মধ্যে ই-নামজারি বাস্তবায়ন করেন তিনি।

Ease of Doing Business-এর জন্যে নামজারি ০৭ কার্যদিবসের মধ্যে বাস্তবায়নে তিনি পথিকৃৎ। এছাড়া সনদপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নামজারি ১০ কার্যদিবসের মধ্যে নিদের্শনা দেন তিনি। 'ই-নামজারি অ্যাপ' নামে ই-নামজারির পদ্ধতি প্রকাশে তিনি উদ্যোগী হন।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রায় তিন যুগ পূর্ব হতে আরম্ভ করা জরিপের অধিকাংশ সম্পন্নকরণ এবং আগামী জুন ২০২১- এর মধ্যে শতভাগ সম্পন্ন করতে তিনি অঙ্গীকারাবদ্ধ।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল সেবা অনলাইনভিত্তিক করার লক্ষ্যে ডাটাবেইজড তৈরি এবং ওহঃবৎ ঙঢ়বৎধনষব করার জন্যে অনুমোদিত 'ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প' বাস্তবায়ন করেন তিনি। নির্ভুল, দ্রুত ও কার্যকর জরিপ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে অনুমোদিত ডিজিটাল পদ্ধতিতে জরিপ প্রকল্প বাস্তবায়নে মৌজা ও প্লটভিত্তিক ডিজিটাল ল্যান্ড জোনিং প্রকল্পের কাজ চলছে।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সকদিরামপুর গ্রামের বড় পাটওয়ারী বাড়ির বদিউজ্জামান পাটওয়ারী ও আশরাফুন নেছার সুযোগ্য সন্তান মোহাম্মদ মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারীর জন্ম ১৯৬২ সালের ১ জানুয়ারি। ১৯৮৮ সালে সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন তিনি।