• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

আবার ইলিশ শূন্য চাঁদপুর মাছঘাট

প্রকাশ:  ০১ জুন ২০২১, ১৪:২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

পদ্মা-মেঘনায় পানির গভীরতা তেমন নেই, চর পড়ায় ইলিশ চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে : ড. আনিসুর রহমান
মিজানুর রহমান ॥ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আগের ক’টি দিন উপকূলীয় অঞ্চল থেকে কিছু মাছ আসায় চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছ ঘাট ইলিশের প্রাচুর্যে পুরানো চেহারা ফিরে পেয়েছিল। মাত্র ৩/৪ দিন ঘাটে ইলিশের এই প্রাচুর্য দেখা যায়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে যাওয়ার পর ২৫মে থেকে ঘাটে আর ইলিশের দেখা নেই। বিশেষ করে সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইলিশের রাজধানীখ্যাত চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাট আবারো ইলিশ শূন্য হয়ে পড়েছে।
চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীতে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার পর গত ১মে থেকে মাছ ধরা শুরু হলেও নদীতে তেমন ইলিশ ধরা পড়ছে না। গত এক মাস ধরে অধিকাংশ জেলে নদীতে নেমে হতাশ হয়ে ফিরছেন। অনেকে মাছ পাবার আশায় এখনো নদী চষে বেড়াচ্ছেন। নতুন করে গত ২০মে থেকে সাগরে ৬৫ দিনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। ফলে প্রায় ইলিশ শূন্য হয়ে পড়েছে চাঁদপুর।
গতকাল সোমবার দুপুরে চাঁদপুর মাছঘাটে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মৎস্য আড়তদার মেজবা মাল কিছু জিওল মাছ মোকামের জন্যে প্যাক করাচ্ছেন। অধিকাংশ আড়তই ফাঁকা। আড়তদাররা বসে রয়েছেন। আড়তের পাশে বসে কিছু খুচরা ব্যবসায়ী অল্প কিছু ইলিশ বিক্রির জন্যে অপেক্ষা করছেন। অলস সময় কাটাচ্ছেন আড়তের কর্মচারীসহ মৎস্য শ্রমিকরা। এ অবস্থার কারণ হিসেবে একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ কমে যাওয়ায় এখানকার অধিকাংশ ব্যবসায়ী সাগরের ইলিশের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। সেখানে তাদের কোটি কোটি টাকা দাদন দেয়া আছে। কিন্তু সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় চাঁদপুরের এই মাছঘাট এখন প্রায় ইলিশ শূন্য হয়ে পড়েছে।
মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মানিক জমাদার বলেন, ‘ইলিশের এখনও পুরোপুরি মৌসুম শুরু হয়নি। তবুও এ সময় ভোলা, বরিশাল ও নোয়াখালীসহ আশেপাশের জেলা থেকে অল্প কিছু ইলিশ আসছে এই বাজারে। এর মধ্যে এবার সাগরের ইলিশ মাত্র চার থেকে পাঁচ দিন পাওয়া গেছে। তবে কয়েকদিন ধরে কোনো ইলিশই আসছে না। চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ নেই বললেই চলে।’
চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইলিশ গবেষক ড. আনিসুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে ইলিশের ডাল সিজন চলছে। এছাড়া সাগরেও ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। তবে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে প্রথমত পানির গভীরতা তেমন নেই। চর পড়ে ইলিশ চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নদী দূষণ, নদীতে ব্যাপক আকারে ড্রেজিং করে বালু উত্তোলনের কারণে ইলিশের স্বাভাবিক চলাচল ও খাবার সংকট তৈরি হওয়া ইলিশ কমে যাওয়ার মূল কারণ।’