• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

গাড়ি না ভেঙে ছাত্রদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ:  ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬:১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, যানবাহন ভাঙচুর করা তাদের কাজ নয়। অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাঙা ছাত্রদের কাজ নয়, এটা কেউ করবেন না। দয়া করে যার যার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যান, লেখাপড়া করেন। যারা দোষী তাদের খুঁজে বের করে অবশ্যই শাস্তি দেওয়া হবে, সেটা আমরা করব।

শেখ হাসিনা বুধবার সকালে বিজয়ের মাসের প্রথম দিন বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ম্যুরাল এবং রাজধানীর ধানমন্ডিতে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১২ তলা ‘জয়িতা টাওয়ার’ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক সতর্ক। সঙ্গে সঙ্গেই অপরাধীদের খুঁজে বের করা হয়েছে। তাছাড়া সবকিছুর ভিডিও ফুটেজও রয়েছে। তাই যে কোনো সময় যে কোনো অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে তাদের ধরে ফেলা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করেই সেটা করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ভবিষ্যতে এই গাড়ি ভাঙচুর এবং আগুন দেওয়ার ঘটনা যারা ঘটাবে, তাদের খুঁজে বের করা হবে, শাস্তি দেওয়া হবে। যে গাড়িতে আগুন দেওয়া হচ্ছে সে গাড়িতে যদি কেউ মারা যায় বা আগুনে পুড়ে, তার জন্য কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। এ কথাও মাথায় রাখতে হবে।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির ময়লার গাড়িতে পর পর পথচারী নিহত হওয়ার ঘটনা তিনি যথাযথভাবে তদন্ত করে দেখারও নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, আমি এটুকুই চাই, আমাদের দেশের যে উন্নয়ন আমরা করে দিচ্ছি, সেটা ধরে রেখে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আজকের শিশুরা আগামী দিনের সোনার বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক হবে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বক্তৃতা করেন। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারপারসন লাকী ইনাম এবং জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খানও বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে জাতির পিতার ম্যুরাল এবং ‘জয়িতা টাওয়ার’র ওপর দুটি ভিডিও চিত্রও পরিবেশিত হয়।

সড়কের অবস্থা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ দৌড় দেবে আর দুর্ঘটনা ঘটবে, দুর্ঘটনা ঘটলেই রাস্তায় লোক নেমে গাড়ি ভাঙা, গাড়িতে আগুন দেওয়া, গাড়ি পোড়ানো, এটা কী ধরনের কথা? একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে, তখন তাকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে, তার সেবা না করে লাঠিসোটা নিয়ে নেমে পড়লো গাড়ি ভাঙা, আগুন দেওয়ার কাজে।

‘আমার এখানে একটা প্রশ্ন, এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমগ্র জাতির কাছে। এই দুর্ঘটনার পর আগুন দেওয়া শুরু হলো, এ গাড়িতে কি নারী-শিশু বা ছাত্র-ছাত্রীরা নেই? ওই আগুনে যারা পুড়বে, আহত হবে বা মারাও যেতে পারে, তার দায়িত্ব কে নেবে? খুব স্বাভাবিক বিষয় হচ্ছে, যারা আগুন দেবে তাদের ওপরই দায় বর্তায়। তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সেভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, তাই আমি বলবো, কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। আর গাড়ি চালকদেরও আমি বলবো তাদেরও সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালাতে হবে।

সর্বাধিক পঠিত