• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের আলোচনা সভায় সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ

চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগকে কালো থাবা থেকে রক্ষা করতে হবে

প্রকাশ:  ০৮ মার্চ ২০২১, ১২:৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
 ৭ মার্চ রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় শহরের মরহুম আঃ করিম পাটোয়ারী সড়কস্থ  জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে দিনের প্রথম কর্মসূচি জাতীয় পতাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল। দুজনের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচির শুভ সূচনা করা হয়।
এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে একে একে  জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সকাল ৮টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের নিচতলায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ নাছির উদ্দিন আহমেদের সভাপ্রধানে ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ মোঃ জহিরুল ইসলামের পরিচালনায় আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে আলহাজ্ব নাছির উদ্দীন আহমেদ  বলেন, মার্চ মাস বাঙালির জাতির জন্যে একটি ঐতিহাসিক মাস। বঙ্গবন্ধু জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ডাক দেন। বঙ্গবন্ধুর সেই ১৮ মিনিটের ভাষণ জাতিসংঘে  স্থান পেয়ে সারা বিশ্বের সেরা ভাষণে পরিণত হয়েছে। তিনি আমাদের একটি স্বাধীন দেশ, মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা দিয়েছেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার মধ্য দিয়ে তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের কারণে তা সফল হতে পারেনি। এই ষড়যন্ত্রকারীরা  সেদিন স্বাধীন দেশকে পরাধীন করতেই জাতির জনককে হত্যা করে।
তিনি আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আজ ঐক্যবদ্ধ। আওয়ামী লীগ একটি আদর্শিক রাজনৈতিক দল। আমাদেরকে জাতির জনক ও জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শকে সামনে রেখে রাজনীতি করতে হবে। আওয়ামী লীগ যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল। তাই আমাদের ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। আজ জেলা আওয়ামী লীগ এক ও অভিন্ন। আজ দুঃখ হয় আওয়ামী লীগই সরকারি দল ও বিরোধী দল। আজ ঘরের মধ্যেই ঘর তৈরি করা হয়েছে। জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে কোনো মতানৈক্য নেই, তাই চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভেদ নেই।
তিনি আরো বলেন, আজকের এ দিনে আমাদের শপথ নিতে হবে, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগকে কালো থাবা থেকে রক্ষা করতে হবে। আওয়ামী লীগকে সঠিক রাস্তায় আনতে হবে এবং বাঁচাতে হবে। এটাই হোক আমাদের শপথ। জননেত্রী শেখ হাসির নির্দেশে আমরা কাজ করবো। অসাংগঠনিকভাবে যে সকল কমিটি করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সকল কার্যক্রম করবে। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক জেলার কার্যক্রম পরিচালিত হবে। দুই দিনের বৈরাগী ভাতকে বলে প্রসাদ। এ ধরনের রাজনীতি যারা করেন আপনারা ঐ রাজনীতি পরিহার করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের জন্যে কাজ করেন।
উক্ত আলোচনা সভায়  অন্যান্যের  মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রকৌঃ আব্দুর রব ভূঁইয়া, আব্দুর রশিদ সর্দার, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডঃ রুহুল আমিন সরকার, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নূরুল ইসলমি মিয়াজী, দপ্তর সম্পাদক শাহ আলম মিয়া, সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাবেক সদস্য জসিম উদ্দিন পাটওয়ারী, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন মন্টু দেওয়ান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জু মাঝি, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন মোঃ বাবর, পৌর আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহবুবুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পারভেজ করিম বাবু, ছাত্রনেতা ওমর ফারুক, জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, মহিলা আওয়ামী লীগের পক্ষে রানু বেগম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাসুদুর রহমান পরান,  মৎস্য শ্রমিক লীগ নেতা মালেক দেওয়ান প্রমুখ।
এছাড়াও  ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে বাদ আছর বিভিন্ন মসজিদ ও ধমীয় প্রতিষ্ঠানে দোয়ার আয়োজন করা হয়।