• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

বাংলাদেশের আশা উজ্জ্বল করে সেমিতে অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশ:  ২৬ জুন ২০১৯, ০৯:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চলতি বিশ্বকাপে ৩২তম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৬৪ রানের ব্যবধানে হেরে গেছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। অজিদের দেয়া ২৮৬ রানের জবাবে ইংল্যান্ডের ইনিংস থেমেছে ২২১ রানে।

এ জয়ে বিশ্বকাপের প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। অপরদিকে এই ম্যাচ হেরে ইংল্যান্ডের সমীকরণ কঠিন হয়ে গেল আরেকটু, সেই সঙ্গে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা-পাকিস্তানের আশা উজ্জ্বল হলো একটু।

৭ ম্যাচ শেষে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৪ নম্বরে ইংল্যান্ড। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে ৭ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ অবস্থান করছে ৫ নম্বরে। এখন টাইগারদের সামনে সমীকরণ হলো, যদি ইংল্যান্ড তাদের পরবর্তী দুই ম্যাচের একটিতে হারে এবং বাংলাদেশ নিজেদের পরের দুই ম্যাচে জেতে- তাহলে চতুর্থ দল হিসেবে সেমির টিকিট পাবে বাংলাদেশই।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে ক্রিকেটের তীর্থভূমি লর্ডসে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করে অজি দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। ওপেনিং জুটিতে আসে ১২৩ রান। ওয়ার্নার অর্ধশতক তুলে ৫৩ রান করে মঈন আলীর বলে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান। এ ম্যাচে সাকিব আল হাসানকে ছাড়িয়ে ফের বিশ্বকাপে সেরা রান সংগ্রাহক হলেন ওয়ার্নার। ৭ ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরি ও তিনটি হাফসেঞ্চুরিতে বরাবর ৫০০ রান তার। অন্যদিকে অর্ধশতক তুলে নেন ফিঞ্চ।

দ্বিতীয় উইকেটে জুটিতে ৫০ রান যোগ করেন ফিঞ্চ ও উসমান খাজা। ব্যক্তিগত ২৩ রানে খাজা বোল্ড আউট হন বেন স্টোকসের বলে। এরপরই চলতি বিশ্বকাপের নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন ফিঞ্চ। তবে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে ওঠার সুযোগটা হাতছাড়া করেন এই ডান হাতি ওপেনার। বিশ্বকাপে তার রান সংখ্যা ৪৯৬। ঠিক ১০০ রান করে জোফরা আর্চারের বলে ক্রিস ওকসের হাতে ধরা পড়েন অজি অধিনায়ক। ১১টি চার ও ২টি ছয়ের মারে সাজানো ছিল এই ইনিংস।

ফিঞ্চের বিদায়ের পর পথ হারিয়ে ফেলে অজিরা। ইংলিশ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে রান তোলার গতি কমে যায় তাদের। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১২) ও মার্কাস স্টইনিস (৮) দ্রুতই বিদায় নেন। স্কোর বোর্ডে রান তখন ৫ উইকেটে ২২৮ রান।

স্টিভেন স্মিথও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৩৮ রান করে ওকসের বলে আর্চারের হাতে ক্যাচে পরিণত হন সাবেক অজি অধিনায়ক। শেষ দিকে অ্যালেক্স ক্যারে কিছুটা মারমুখি হন। ২৭ বল থেকে তিনি করেন ৩৮ রান। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া।

ক্রিস ওকস ২টি, আরচার, মার্ক উড, বেন স্টোকস, মঈন আলি এবং আদিল রশিদ নেন ১টি করে উইকেট।

২৮৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে ইংল্যান্ড। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ইংল্যান্ডের ওপর আঘাত হানেন অজি পেসার জেসন বেহরেনডর্ফ। বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন ইংলিশ ওপেনার জেমস ভিন্সকে। স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ না হতেই উইকেটের পতন।

জনি বেয়ারেস্টর সঙ্গে জুটি বাধতে আসেন জো রুট। কিন্তু দলীয় ১৫ রানের মাথায় এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে যান তিনি। বোলার মিচেল স্টার্ক। ৯ বলে ৮ রান করে ফিরে যান রুট।

বেয়ারস্টোর সঙ্গে জুটি বাধতে আসেন অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান। কিন্তু তিনিও পারলেন না। মিচেল স্টার্কের বলে ক্যাচ তুলে দেন। সেই ক্যাচ ধরেন প্যাট কামিন্স। ৭ বলে ৪ রান করে ফিরে যান তিনি।

দলীয় ৫৩ রানে ৪র্থ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ব্যক্তিগত ২৭ রানে বেহরেনডর্ফের বলে প্যাট কামিন্সের হাতে তালুবন্দি হন ইংলিশ ওপেনার জনি বেয়ারস্টো।

 

এরপর জস বাটলার (২৫) ও ক্রিস ওকসের (২৬) সঙ্গে বেন স্টোকসের ৭১ ও ৫৩ রানের জুটি যা প্রতিরোধ গড়েছিল। এরপর বেহরেনডর্ফের পেসে ভেঙে পড়ে পুরো ইংলিশ ব্যাটিং লাইন। অবশ্য ইনিংস সেরা ৮৯ রান করা স্টোকসের উইকেটটি স্টার্কের।

ওকস ও মঈন আলীর (৬) পর জোফরা আর্চারকে ফিরিয়ে এই বিশ্বকাপে পঞ্চম বোলার হিসেবে এক ইনিংসে ৫ উইকেট নেন বেহরেনডর্ফ। ১০ ওভারে ৪৪ রান দেন তিনি। ২৫ রানে আদিল রশিদকে ফিরিয়ে জয় নিশ্চিত করেন স্টার্ক।

অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে জেসন বেহরেনডর্ফের পাঁচটি উইকেট ছাড়াও মিচেল স্টার্ক চারটি ও মার্কাস স্টইনিস একটি উইকেট শিকার করেন।