• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

শেষ মুহূর্তের গোলে মোহামেডানকে হারালো আবাহনী

প্রকাশ:  ১০ অক্টোবর ২০২১, ১১:১৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

গোল আর খেলা শেষের বাঁশির মধ্যে ব্যবধান ৩০ সেকেন্ড। আবাহনীর গোলের পর স্টিক হাতে দুই দল একটু নড়তেই আম্পায়ারের ম্যাচ সমাপ্তির বাঁশি। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৩ বছর পর দেশের দুই জনপ্রিয় দল মোহামেডান ও আবাহনীর ম্যাচ গোল দেখলো শেষ মুহূর্তে।

যে গোলে মোহামেডানের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় জয় পেলো আবাহনী। ২০১৮ সালে প্রিমিয়ার লিগের সুপারফাইভের ম্যাচের পর এবার ক্লাব কাপেও চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে জয়ের হাসি আবাহনীর।

অথচ এ ম্যাচ ঘিরে মোহামেডান সমর্থকদের আশা ছিল বেশি। আবাহনী বিদেশিহীন, মোহামেডানে তিন ভারতীয়। তারপরও ম্যাচে যোগ্যতর দল হিসেবেই জয় তুলে নিয়েছে ক্লাব কাপের সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নরা।

উত্তেজনা ছিল, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে খেলাও বন্ধ থাকলো ৭ মিনিটের মতো। তবে ম্যাচটি মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচের মতো ছিল না। আবাহনী তুলনামূলক কিছুটা গুছিয়ে খেলতে পারলেও মোহামেডান ছিল ছন্নছাড়া। তাদের ভারতীয় খেলোয়াড়দের মান দেখে সমর্থকরা হতাশ।

পুরো ম্যাচে তিনটি পেনাল্টি কর্নার-আবাহনী ২ টি, একটি মোহামেডান। কোনো দলই প্রতিপক্ষের ওপর সেভাবে চাপ তৈরি করতে পারেনি। নিষ্ফলাই হচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত ম্যাচটি, এমন ভেবে দর্শকরা যখন আসন ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ঠিক তখনই ঝটিকা এক আক্রমণে গোল আদায় করে নেয় আবাহনী। মাহবুবের আড়াআড়ি পাসে পুস্কর ক্ষিসা মিমোর জোরালো হিটে পরাস্ত হন মোহামেডানের ভারতীয় গোলরক্ষক অতল দেব সিং। ১-০ গোলে জয় নিশ্চিত হয় আবাহনীর।

এ জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে এগিয়ে গেল আবাহনী। খেলা শেষে আবাহনীর কোচ হেদায়েতুল ইসলাম খান রাজিব বলেছেন, ‘আমরা স্থানীয় খেলোয়াড়দের নিয়ে সেরা দল গড়েছি। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত গোল আদায়ের চেষ্টা করেছিলাম আমরা। সেটা পেরেছি। সবকিছু পরিকল্পনামতো হয়েছে বলেই এই জয় আমাদের।’

গোলদাতা পুস্কর ক্ষিসা মিমো বলেছেন, ‘মোহামেডানকে হারানোর মজাই আলাদা। আমরা হাল ছাড়িনি। ওদের বিদেশি ছিল বলে আমরা কোনো চাপ অনুভব করিনি। কোচের নির্দেশনা ছিল নিজেদের খেলাটা খেলার, আমরা মাঠে সেটাই করেছি।’

সর্বাধিক পঠিত