• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে পর্যালোচনা সভায় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি

আপনাদের সাথে বসতে পারিনি বলে এটা ভাববেন না যে আমি নাই

প্রকাশ:  ২১ এপ্রিল ২০২২, ১০:৩৭ | আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২২, ১৩:৩৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 সরকারি কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন বিশেষ করে সাইট সিলেকশানের ক্ষেত্রে এবং প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে মন্ত্রীকে না জানানো কিংবা তাঁকে না দেখানোয় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। তিনি সরকরি বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এও বলেছেন, আমাকে জানালে আমি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করে নানা জটিলতা দূর করতে পারবো। আপনারা সরকারি কর্মকর্তা, আপনাদের পক্ষে সব অফিসে বা সবার কাছে যাওয়া হয়তো সম্ভবও না। আমি জনপ্রতিনিধি, আমি সব জায়গায় যেতে পারবো। সেজন্যে বলছি, যে কোনো প্রকল্পের বিষয়ে, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে হাতে সময় থাকতে আমাকে জানাবেন। দীপু মনি বলেন, আপনাদের সাথে বসতে পারিনি বলে এটা ভাববেন না যে আমি নাই। শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি চাঁদপুর জেলার সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বর্তমান সরকারের চলমান তিন বছর তিন মাসে চাঁদপুরে বাস্তবায়িত এবং বাস্তবায়নাধীন নানা প্রকল্প বিষয়ে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন। গত মঙ্গলবার চাঁদপুর সার্কিট হাউজে এ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চাঁদপুর সদর উপজেলা মডেল মসজিদ কোথায় হচ্ছে সেটা জানতে চান শিক্ষামন্ত্রী। সেটার সাইট সিলেকশান কীভাবে হলো এবং তাঁকে যে সে জায়গা দেখানো হলো না সেটিসহ আরো কয়েকটা বিষয় তাঁকে না জানানোয় তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিডি জেলা মডেল মসজিদের বিষয়টি তুলেন এবং এর সাইট সিলেকশান নিয়ে জটিলতার বিষয়টা সভায় উত্থাপন করেন। শহরের উপরে সে পরিমাণ জায়গা না পাওয়া যাওয়ায় শহরের পূর্ব দিকে অর্থাৎ টেকনিক্যালের পরে করা যায় কি না সে ব্যাপারে তিনি শিক্ষামন্ত্রীর মতামত চান। প্রাথমিকভাবে কয়েকটি জায়গার কথাও তিনি উল্লেখ করেন। মন্ত্রী সরজমিনে গিয়ে দেখে জানাবেন বলে জানান।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ গোলাম মেহেদী হাসান সভায় জানান, বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পসহ আরো ক’টি প্রকল্পের দ্বারা জেলেরা বিভিন্ন সময় প্রণোদনা পেতো, প্রশিক্ষণ পেতো। এর দ্বারা জেলেদের জীবনমানের উন্নয়ন হতো। এসব প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ৩০ জুন। প্রকল্পগুলো না থাকলে জেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই প্রকল্পগুলো বৃদ্ধি করা যায় কি না অথবা বিকল্প কোনো প্রকল্প নেয়া যায় কি না সে ব্যাপারে মন্ত্রী মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এটি আপনি আমাকে এখন জানালেন! হাতে সময় আছে আর কতদিন? একটা প্রকল্প পাস করতে হলে তো সময় লাগে। এতো অল্প সময়ে আমাকে জানালেন? আরো আগে জানালেন না কেনো? এর জন্য অবশ্য জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দুঃখ প্রকাশ করেন। তারপরও মন্ত্রী বিষয়টা সক্রিয়ভাবে দেখবেন বলে জানান।
এভাবেই শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে কোথাও কোনো অসঙ্গতি বা কাজের ধীরগতি দেখলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেন এবং সময়মতো তাঁকে জানিয়ে দ্রুতগতিতে কাজ এগিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দেন। মন্ত্রী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের চাকরির একটা বয়সসীমা আছে, যেটা দীর্ঘ সময়। কিন্তু সরকারের মেয়াদ একটা নির্দিষ্ট সময়ের (পাঁচ বছর) জন্য। এই সময়ের মধ্যে সরকারের উন্নয়ন কাজগুলো শেষ করতে হয়। এর জন্যে আপনাদের আন্তরিকতা খুব বেশি প্রয়োজন।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ, পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েলসহ সরকারি ষাটোর্ধ্ব অফিসের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

সর্বাধিক পঠিত