• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ভোক্তা অধিকার, ক্যাব, নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর ও রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির যৌথ মতবিনিময় সভা

প্রকাশ:  ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:২২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর, নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর, জেলা ক্যাব ও বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির যৌথ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে শহরের ফয়সাল শপিং কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি জেলা শাখার কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী  পরিচালক নূর হোসেন। এ সময় তিনি বলেন, মানুষের খাদ্যের চাহিদা বেড়েছে বলে হাইব্রিড খাবারের চাহিদা   বেড়েই চলছে। আগে দেশের অনেক কৃষকের বাড়িতে ধানের বীজ থাকতো। কিন্তু বর্তমানে বীজ আমাদের    বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। তিনি বলেন, আপনারা প্রতিদিনের প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার তৈরি করবেন, তাহলে আর খাবার বাসি হবে না। আপনাদের ওয়ান মিনিটে অনেক সময় গেলে মিষ্টি পাওয়া যায় না। দোকানি বলেন, শেষ হয়ে গেছে। কারণ ওয়ান মিনিট প্রতিদিনের চাহিদা অনুযায়ী মিষ্টি বানিয়ে থাকে বলে তা শেষ হয়ে যায়।  নিজের সততা রেখে যদি ব্যবসা না করেন তাহলে শুধু আইন ও জরিমানা করে তা রোধ করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, অনলাইনে যারা ব্যবসা করছে তাদের বিষয়ে আমরা কাজ করছি। কারণ সকল ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা চলছে। তাই আপনাদেরকে সেটা মেনে কাজ করতে হবে। মূল্য তালিকার জন্যে গত এক বছরে কোনো ব্যবসায়ীকে জরিমানা করতে পারিনি। তা অবশ্যই ভালো একটি বিষয়। কারণ আপনারা আইন মানছেন। আমরা জরিমানা করতে চাই না। আপনারা সরকারের আইন না মেনে ব্যবসা করলে জরিমানার কবলে পড়তে হবে।
বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি হাজী মোঃ নূরুল আলম লালুর সভাপতিত্বে ও জেলা ক্যাবের দপ্তর সম্পাদক মোঃ বিপ্লব সরকারের পরিচালনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের ফুড সেফটি অফিসার মোঃ আরিফুল হাসান। আরও বক্তব্য রাখেন জেলা ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোশারেফ হোসেন, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ মাসুদ আখন্দ, উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অজিত সাহা, চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধি ও জেলা ক্যাবের কোষাধ্যক্ষ গোপাল সাহা, জেলা ক্যাবের সহ-সভাপতি মোঃ সেলিম, সালাউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন বেপারী ও দপ্তর সম্পাদক মোঃ জাহিদুল হক মিলন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা রুহুল আনোয়ার, যুগ্ম সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ছানা উল্লাহ খান, সদস্য অভিজিত রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার, পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর খোদেজা বেগম, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক মোঃ মুজিবুর রহমান আখন্দ (মাইনু), কোষাধ্যক্ষ সম্পদ সাহা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ মামুন রহমান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবু নাছের হোসেন, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মামুন হোসেনসহ আরও অনেকে।
সভায় বক্তারা বলেন, সামনে রমজান। আমরা হোটেল মালিকরা ভালো খাবার পরিবেশন করবো। কারণ আমরা ব্যবসা করছি, কিন্তু এর সাথে সাথে আমরা নিজেরা ভোক্তাও। যে খাবারটা থেকে যায় তা কী করবো তা নিয়ে প্রশ্ন রাখেন ব্যবসায়ীরা। অনলাইনে যারা খাবার বিক্রি করছে তাদের খাবারের মানের বিষয়ে ভোক্তা অধিকার ও ক্যাব কী ব্যবস্থা নিয়েছে। আমাদের হোটেল বয়দের জন্য ট্রেনিং সেন্টার প্রয়োজন। তারা বলেন, রাষ্ট্র শুধু আইন করলেই হবে না, আইনের প্রয়োগ যেন সুনিশ্চিত করা হয়।
ক্যাবের নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, হোটেলগুলোতে পরিবেশ যেন সুন্দর থাকে, পরিচ্ছন্ন থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে কোনোভাবেই বাসি খাবার ভোক্তাকে দেয়া যাবে না। ফ্রিজে কোনো     অবস্থাতেই রান্না করা খাবারের সাথে কাঁচা মাংস রাখা যাবে না। কোনো অবস্থাতেই পণ্য মজুত করা যাবে না। জরিমানা রোধ করতে ব্যবসায়ীদের স্বচ্ছভাবে ব্যবসা করতে হবে। রমজান আসলে অনেক ব্যবসায়ী বেশি     লাভের চিন্তা করেন তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। হঠাৎ করে যেন খাবারের দাম বাড়ানো না হয়।
নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বলেন, আমাদের দেশে যে কালারগুলো ব্যবহার করা হয় তা সত্যিকারের ফুডগ্রেড কালার নয়। আপনারা কোনো অবস্থাতেই খাদ্যে কালার ব্যবহার করবেন না। খাদ্যে জেজালের জন্যে আমরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছি। বাইরের দেশে বেশি সংখ্যক মানুষ হোটেলে খাবার খায়, কিন্তু আমাদের দেশে হোটেলে খাবার কম খায়, প্রয়োজন পড়লে খায়। আপনারা বেশি লাভের আশায় ক্রেতা হারাচ্ছেন। কোনো খাবার বাসি করবেন না, বাসি খাবার কোনো অবস্থাতেই বিক্রি করা যাবে না।