• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ফরিদগঞ্জে প্রশাসনের উদ্যোগে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মতবিনিময় সভায় অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান

প্রকৃত ধর্মপ্রাণ মানুষ কখনোই অন্য ধর্মের মানুষের ক্ষতিসাধন করতে পারে না

প্রকাশ:  ২৬ অক্টোবর ২০২১, ১৬:০৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট


 ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমুন্নত রাখতে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৫ অক্টোবর সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইউএনও শিউলী হরির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আশরাফ আহমেদ চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন আক্তার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জিএস তছলিম, মাজুদা বেগম, অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহিদ হোসেন, ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুজ্জামান, সাবেক সভাপতি নূরুন্নবী নোমান, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ডাঃ পরেশ চন্দ্র পাল, সাধারণ সম্পাদক তপন মজুমদার, পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি হিতেশ শর্মা, সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার দাস, ইসলামী ফাউন্ডেশনের মাঠ সমন্বয়কারী জাহিদ হোসেন, উপজেলা মসজিদের খতিব মাওঃ ইউনুছ, থানা জামে মসজিদের খতিব মোহাম্মদ হোসাইন, ইউপি চেয়ারম্যান বাছির আহাম্মদ প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান বলেন, বাঙালির সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ইতিহাস হাজার বছরের। এদেশে সুদীর্ঘকাল ধরে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রে বসবাস করে আসছে। একে অপরের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে পরস্পরের প্রতি সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে, যা অদ্যাবদি চলমান। কিন্তু কিছু কুচক্রি মানুষ আমাদের এই সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করতে নানাভাবে চেষ্টা করছে। কুমিল্লার ঘটনাটি যার প্রমাণ। এই পর্যন্ত পুলিশের তদন্তের যা বেরিয়ে এসেছে, তাতে আমরা বুঝতে পারছি একজন প্রকৃত ধর্মপ্রাণ মানুষ কখনোই অন্য ধর্মের মানুষের ক্ষতিসাধন করতে পারে না। ২০০১ সালে শুরু হয় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা ও নির্যাতন। পরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকার যখন সকল সম্প্রদায়ের মানুষের সমাধিকার নিশ্চিত করে এদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছেন তখনই চক্রটি আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এদেরকে আমাদের সম্মিলিতভাবে দমন করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা একথা বলতে পারি ফরিদগঞ্জ উপজেলা এইসব থেকে ভালো রয়েছে। গুপ্টির ঘটনাটি ইতিমধ্যেই শটসার্কিট থেকে হওয়া বলে তদন্তে জানা গেছে। তারপরও ভবিষ্যতে যেনো অনিষ্টকারী গোষ্ঠী কোনো ঘটনা ঘটাতে না পারে, সেজন্যে আমাদের প্রত্যেককে সজাগ থাকতে হবে। মসজিদের খতিব ও ইমামদের প্রতিটি জুমার দিন মানুষকে এসব বিষয়ে বোঝাতে হবে। একই সাথে অন্য সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দকেও নিজ নিজ ধর্মের অনুশাসন মেনে চলার জন্যে মানুষদের পরামর্শ দিতে হবে। আমি একথা বলতে পারি, যারা প্রকৃত ধর্ম চর্চা করে তারা কখনই অন্য ধর্মের প্রতি আঘাত আনতে পারে না।