• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মতলব উত্তরের ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড কেন্দ্র প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজেই ব্যালটে সিল মারতে থাকেন ছবি তুললে কেড়ে নেয়া হয় সাংবাদিকের মুঠোফোন

প্রকাশ:  ২৯ নভেম্বর ২০২১, ১২:৩৩ | আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২১, ১২:৩৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিজেই ব্যালটে সীল মেরে ভোট ডাকাতির জঘন্যতম দৃশ্য দেখালেন। আর এ দৃশ্য ধারণ করতে গেলে সাংবাদিকের মোবাইল ফোন (মুঠোফোন) কেড়ে নিয়ে সব ছবি ডিলেট করে ফেললেন প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার দুজনেই। এখানেই শেষ নয়, উভয় কর্মকর্তাই সন্ত্রাসী কায়দায় হুমকি দিয়ে ওই সাংবাদিককে কেন্দ্র থেকে বের করে দেন। এমন কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটলো মতলব উত্তর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মধ্য ইসলামাবাদ মাদ্রাসা (মক্তব) কেন্দ্রে।
গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে স্বয়ং প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের দ্বারা ভোট ডাকাতির এমন দৃশ্য দেখা গেলো প্রিজাইডিং অফিসারের রুমে। ঘটনার আরো ন্যাক্কারজনক পর্ব রয়েছে। সেটি হলো- প্রিজাইডিং অফিসারের রুমটি হলো মসজিদে। জুতা পায়ে দিয়েই প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে মসজিদ কাম প্রিজাইডিং অফিসারের রুমে ওই কলঙ্কজনক কাজটি (ভোট ডাকাতি) করতে দেখা গেলো। প্রিজাইডিং অফিসার হচ্ছেন মতলব উত্তর উপজেলার আমিয়াপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওঃ ফারুক আহম্মদ এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্মী মামুন (তাৎক্ষণিক নাম পরিচয় এতোটুকুই জানা গেছে)।
গতকাল রোববার ছিলো মতলব উত্তর উপজেলার ১৩টি ইউপির নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন। এর মধ্যে ইসলামাবাদ ইউনিয়নও একটি। তবে এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যাওয়ায় গতকাল শুধু মেম্বার পদে ভোট হয়েছে। সকাল ১০টার দিকে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ওই কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেলো ভিন্ন রকমের চিত্র। ছোট্ট দুটি রুমের একটা ঘরে চলছে ভোটগ্রহণের কার্যক্রম। স্থানীয় ভোটারদের কাছ থেকে জানা গেলো, এটা একটা মক্তব। ছোট্ট একটা ঘর, ভোট কেন্দ্র হওয়ার মতো কোনোভাবেই এটা উপযোগী নয়। অথচ তখন কেন্দ্রের বাইরে ভোটারের দীর্ঘলাইন। মক্তব কাম কেন্দ্রের সামনে রয়েছে দোতলা একটা মসজিদ। কেন্দ্রের দায়িত্বরত আনসার সদস্যের কাছে প্রিজাইডিং অফিসারের রুম কোথায় জানতে চাইলে একজন মসজিদের দোতলায় দেখিয়ে দেয়। নিচ থেকে সিঁড়ি বেয়ে মসজিদের দোতলায় গিয়েই দেখা গেলো ভোট ডাকাতি এবং মসজিদকে অপবিত্র করার জঘন্যতম দৃশ্য। প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার উভয়কেই দেখা গেলো জুতা পায়ে দেয়া অবস্থায় ব্যালটে সিল মারছেন। পেছন থেকে এমন দৃশ্য মোবাইলের ক্যামেরায় ধারণ করার বিষয়টি টের পেলে সাথে সাথে ওই দুই কর্মকর্তা খুব ক্ষেপে গিয়ে এই প্রতিবেদকের দিকে তেড়ে আসেন এবং কেনো ছবি তোলা হলো এ জন্য মোবাইল কেড়ে নিয়ে গালাগালি করতে থাকেন। তারা মোবাইল থেকে সব ছবি ডিলেট করে দেন। ডিলেট করেই তারা ক্ষান্ত হননি। এই প্রতিবেদকের উপর চড়াও হন, কেনো উপরে তথা প্রিজাইডিং অফিসারের রুমে ঢুকলো। তাদের হুমকি ধমকির আওয়াজ শুনে নিচ থেকে পুলিশ এসে এই প্রতিবেদককে এবং তার মোবাইল ফোনটি তাদের থেকে উদ্ধার করে কোনো রকম তাদের রোষানল থেকে রক্ষা করেন।
ঘটনার পর রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ঘটনা জানানো হলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।

সর্বাধিক পঠিত