• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

কলা অনুষদে প্রথম হয়ে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক অর্জন

ঢাবির শিক্ষক হলেন ফরিদগঞ্জের কৃতী সন্তান মাহদী হাসান

প্রকাশ:  ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

এ বছর জানুয়ারিতে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ঢাকা বিশি^বিদ্যালয়ের আরবি বিভাগে লেকচারার হিসেবে শিক্ষক নিয়োগের আবেদন চাওয়া হয়। যথাযথ যোগ্যতা আর সার্বিক বিষয় বিবেচনায় শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন বুনছিলেন চাঁদপুরের মাহ্দী হাসান। তাই স্বপ্নকে বাস্তবে পাওয়ার জন্যে আবেদন করেন চাঁদপুর জেলাধীন ফরিদগঞ্জ উপজেলার কৃতী সন্তান মাহদী হাসান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ধারাবাহিক নিয়ম অতিবাহিত হওয়ার পর গত ২৮ আগস্ট ২০১৮ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমেদ-এর কক্ষে অনুষ্ঠিত সাক্ষাতকারে সকলের সাথে তিনিও অংশগ্রহণ করেন। ৫৪ জন প্রার্থীর সাথে প্রতিযোগিতা করে এখানেও প্রথম হন এবং একমাত্র লেকচারার হিসেবে ৫ সদস্যবিশিষ্ট সিলেকশন বোর্ডেও সুপারিশপ্রাপ্ত হন। গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় চূড়ান্ত অনুমোদন পান তিনি এবং গত ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ পূর্বাহ্নে আরবি বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগদান সম্পন্ন করেন।
তিনি একাডেমিক ফিল্ডে কাজ করার জন্যে দীর্ঘদিন ধরে এই স্বপ্নকে লালন করে আসছিলেন। গবেষণা সেক্টরে তিনি নিজেকে মেলে ধরার এবং বিভাগের সামগ্রিক উন্নয়নে কাজ করা তার একমাত্র লক্ষ্য। ২০০৯-১০ সেশনে ভর্তি, বিএ (সম্মান) ২০১৩, ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট এবং কলা অনুষদে প্রথম হয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক লাভ করেন। এমএ (এ.এল.টি.)-২০১৪, সিজিপিএ ৩.৯৭ (আউট অব ফোর) অর্জন করে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হওয়ার কৃতিত্বও তিনি অর্জন করেছেন। ২০১৫ সালের শেষদিকে উচ্চ শিক্ষার্থে ব্রুনাই গমন এবং ব্রুনাই সরকারের বৃত্তি নিয়ে সুলতান শরীফ আলী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স (রিসার্চ) ডিগ্রি লাভ করেন সফলতার সাথে। গবেষণায় নৈপুণ্য প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ মালয়েশিয়া থেকে ‘ইয়ুথ রিসার্চার অ্যাওয়ার্ড’ অর্জনটাও তাঁর বাকি ছিলো না।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার মানুরী গ্রামের মানুরী দরবার শরীফের হযরত পীর সাহেব হুজুর (রহঃ)-এর ছোট ছেলে মনোয়ারুল ইসলাম এবং ধানুয়া সেকান্দর খান বাড়ির বিশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক কোব্বাদ খানের মেয়ে হাসিনা’র একমাত্র ছেলে মাহাদী হাসান। বাবা মা ও পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করতে পেরে তিনি মহান আল্লাহ রব্বুল আ’লামীনের দরবারে শুকরিয়া আদায় করেছেন। সকলের কাছে একান্ত দোয়াপ্রার্থী তিনি।