• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

কাল জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন

চাঁদপুর জেলায় তিন লক্ষাধিক শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর টার্গেট

প্রকাশ:  ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৩৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

আগামীকাল ৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার সারাদেশে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন (২য় রাউন্ড) অনুষ্ঠিত হবে। এদিন ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে ১টি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ১টি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ ক্যাম্পেইনে ভিটামিন ‘এ’-এর সাথে ‘প্লাস’ যোগ করার ব্যাখ্যা হচ্ছে-‘শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণ মতো ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানো’ বিষয়টিও ক্যাম্পেইনে প্রচার করা। ভিটামিন ‘এ’র সাথে ‘প্লাস’ শব্দ যোগ হওয়ার ব্যাখ্যা স্বাস্থ্য বিভাগ এভাবেই দিয়েছে।
এ ক্যাম্পেইন উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ চাঁদপুরের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় ক্যাম্পেইনের যে তথ্য তুলে ধরা হয় তা হচ্ছে- চাঁদপুর জেলায় মোট ৩ লাখ ২১ হাজার ২শ’ ১৩ জন শিশুকে এ ক্যাম্পেইনের আওতায় আনার টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী শিশু হচ্ছে ৩৫ হাজার ৯শ’ ৯৬ জন, যাদেরকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আর ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশু হচ্ছে ২ লাখ ৮৫ হাজার ২শ’ ১৭ জন। এদেরকে ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামীকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতীহীনভাবে কেন্দ্রগুলোতে এ কার্যক্রম চলবে। উল্লেখ্য, ৬ মাসের কম বয়সী, ৫ বছরের বেশি বয়সী শিশু, ৪ মাসের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে এমন শিশু এবং অসুস্থ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর জন্যে সম্পূর্ণ নিরাপদ, তবে ভরাপেটে খাওয়ানো ভালো।
কর্মশালায় জানানো হয়, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের জন্যে জেলায় মোট কেন্দ্র সংখ্যা হচ্ছে ২ হাজার ৩শ’ ৩৩টি। এর মধ্যে আউট রীচ কেন্দ্রও রয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত কেন্দ্র রয়েছে ৮টি। এই কর্মযজ্ঞের জন্যে পুরো জেলায় ৩ হাজার ৬শ’২৭ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কেন্দ্রগুলো স্বাস্থ্য সহকারী, এফডব্লিওএ এবং সিএইচসিপি কর্তৃক পরিচালিত। আর এই কার্যক্রম তদারকীর জন্যে ৫শ’৫ জন ১ম শ্রেণীর তদারককারী রয়েছেন। ভাসমান শিশু তথা যাতায়াত অবস্থায় যেমন লঞ্চঘাট, বাস স্ট্যান্ড, রেল স্টেশন এসব জায়গায়ও ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র থাকবে। তাছাড়া চরাঞ্চলে এ কার্যক্রম সফলতার সাথে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমান।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য ছাড়াও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন আহসান হাবীব। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর। সিভিল সার্জনের স্বাগত বক্তব্যের পর স্লাইডের মাধ্যমে শিশুর পূর্ণ সুস্থতার জন্যে ভিটামিন ‘এ’-এর প্রয়োজনীয়তা কতটুকু, এর অভাবে শিশু কী কী রোগে আক্রান্ত হতে পারে এবং ভিটামিন ‘এ’র উৎস (প্রাণীজ ও উদ্ভিজ) ইত্যাদি বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন এসআইএমও ডাঃ ফজলুল কাদের। তিনি এ ক্যাম্পেইনের ১ম রাউন্ড যা ১৪ জুলাই ২০১৮ তারিখে হয়েছিলো, সে ক্যাম্পেইনের তথ্যও তুলে ধরেন। এতে উল্লেখ করা হয়, ১ম রাউন্ডে চাঁদপুর জেলায় ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুর লক্ষ্যমাত্রা ৯৮.৭৩% অর্জন হয়েছে, আর ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুর লক্ষ্যমাত্রা ৯৯.৬৪% অর্জিত হয়েছে।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী, সাবেক সভাপতি ইকরাম চৌধুরী, কাজী শাহাদাত, গোলাম কিবরিয়া জীবন, শাহ মোহাম্মদ মাকসুদুল আলম, বিএম হান্নান, ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা, প্রচার সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শান্ত, সদস্য পার্থনাথ চক্রবর্তী ও সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার ফারুক আহমেদ।

 

সর্বাধিক পঠিত