• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

রহিমানগর-ভাতেশ্বর রাস্তার মেরামত কাজে গড়িমসি ॥ দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

প্রকাশ:  ২৬ মে ২০১৯, ১০:৪৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

কচুয়ার রহিমানগর থেকে ভাতেশ^র রাস্তাটি কচুয়া ও বরুড়া এ দুটি উপজেলার সংযোগ সড়ক হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করছে এ রাস্তা ধরে। কচুয়া উপজেলার দক্ষিণাঞ্চল ও বরুড়া উপজেলার পশ্চিম অঞ্চলের বাজারসমূহে কৃষকরা তাদের ধান চাল ও শাকসবজিসহ বিভিন্ন পণ্য আনা-নেয়া করে থাকে এ রাস্তা দিয়ে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এ রাস্তাটির ভগ্নদশা চরমে পৌঁছলে রাস্তাটি মেরামতে প্রায় কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় এবং যথারীতি টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ঠিকাদারকে ওয়ার্কঅর্ডার দেয়া হয়। স্থানীয় অধিবাসী দিদার হোসেন নামে এক ঠিকাদার ওয়ার্কঅর্ডার পেয়ে কয়েক মাস গড়িমসি করে রাস্তার কাজ শুরু করেও রমজানের ১৫ দিন পূর্বে রাস্তার পূর্ব প্রান্ত ভাতেশ^র যুগীরপুল থেকে ১২শ’ মিটার পর্যন্ত কাজ করে উক্ত অংশের বিল জমা দিয়ে বিল উত্তোলন করে নেন। এ ১২শ’ মিটার কাজ সম্পন্নের পর ঠিকাদার আর এ রাস্তার মেরামত কাজের নাম নিচ্ছেন না। রাস্তাটির গর্ত অংশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে চরম ঝুঁকি নিয়ে। একটুখানি বৃষ্টি হলে রাস্তার গর্তে পানি জমে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে সাতবাড়িয়া গ্রামের পূর্ব প্রান্ত থেকে রহিমানগর বাজার পর্যন্ত রাস্তাটির খুবই বেহাল দশা। সাতবাড়িয়া সড়কে জনতা ব্যাংকের সম্মুখে প্রায় ১শ’ মিটার রাস্তায় বড় বড় গর্ত। এই গর্তগুলো পারাপারে প্রায় প্রতিদিনই যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে যাত্রীরা আহত হওয়া ছাড়াও নষ্ট হচ্ছে যানবাহন। রাস্তায় যে ১২শ’ মিটার অংশের কাজ হয়েছে এ কাজ নি¤œমানের বলেও স্থানীয়দের কাছ থেকে অভিযোগ উঠেছে। মেরামত করা অংশে ফিনিশিং কাজ ঠিকমত না করায় এখনই স্থানে স্থানে পানি জমছে। আর সে স্থানগুলো অতিশীঘ্রই নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
ঠিকাদার দিদার হোসেনের সাথে কয়েক দফা তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কোনো সংযোগ পাওয়া যায়নি। ফলে রাস্তা মেরামতে গড়িমসি সম্পর্কে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন বলেন, ঠিকাদার ১২শ’ মিটার রাস্তার মেরামত কাজ করেছে। উক্ত অংশের বিল পরিশোধ করা হয়েছে, বাকি কাজ শীঘ্রই শেষ করার জন্যে তাকে বলা হয়েছে।

 

সর্বাধিক পঠিত