আগুনে বসতঘর পুড়ে ছাই হলেও অক্ষত পবিত্র কোরআন!

মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে বসতঘরে আগুন লেগে গৃহকর্ত্রী মারা গেছে। তিনটি বসতঘর, স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা, রবি শস্য ও আসবাবপত্র সব আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কিন্তু পুড়ে যাওয়া বসতঘরে থাকা পবিত্র কোরআন অক্ষত রয়ে গেছে।
গত ২৬ মে উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের মজুমদার বাড়ির মোস্তফা মুন্সির বসতঘরে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এতে মোস্তফা মুন্সির ২টি বসতঘর, একটি রান্নাঘর আসবাবপত্রসহ মূল্যবান কাগজপত্র সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ আগুনে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে মোস্তফা মুন্সীর স্ত্রীও মারা যান। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখা স্পর্শ করতে পারেনি মহাগ্রন্থ আল-কোরআন। পবিত্র কুরআনের এই অলৌকিক দৃশ্য দেখতে আশপাশের মানুষ ভিড় জমিয়েছে মোস্তফা মুন্সীর বাড়িতে।
পবিত্র কুরআনের এ অলৌকিক দৃশ্যের ব্যাপারে কথা হয় ঐতিহ্যবাহী ঘিলাতলী ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এম এ বাশারের সাথে। তিনি পবিত্র কুরআনের সূরা আল-হিজরের ৯ নম্বর আয়াতের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, মহান আল্লাহ বলেছেন, “আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ নাযিল করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক”। এটাই কুরআনের মু’যিজা। যুগে যুগে বিভিন্ন স্থানে মানুষ এ দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেছে। মহান আল্লাহর এই সাশ^ত বাণীর সত্যতাই প্রত্যক্ষ করেছে মানুষ। তিনি আরও বলেন, মহান আল্লাহ যে অসীম ক্ষমতার মালিক, দুনিয়ার মানুষ এ সমস্ত নজির দেখেও অনেক সময় না দেখার ভান করে। আমাদের এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে এবং আল্লাহর প্রতি নির্ভেজাল ঈমান নিয়ে তাঁর ইবাদত বন্দেগী করতে হবে।