• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

হাজীগঞ্জে দৃস্টি প্রতিবন্ধির মৃতদেহ উদ্ধার

চাঁদপুর থেকে মিজানুর রহমান ।।

প্রকাশ:  ২৯ মে ২০১৯, ১১:৪৫ | আপডেট : ২৯ মে ২০১৯, ১২:১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল-এন্নাতলী মাঠের একটি হালটে দৃষ্টি প্রতিবন্ধি নুরুল ইসলাম পাটওয়ারি (২২) মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়।
 
দৃষ্টি প্রতিবন্ধি ওই যুবক এন্নাতলী পাটওয়ারী বাড়ীর আবুল বাসারের ছোট ছেলে। ওই পরিবারের চারজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধি। নিহতের ভাই খোরশেদ আলম, এক বোন ও বাবা আবুল বাসার জন্মগত দৃষ্টি প্রতিবন্ধি। এ বিষয়ে নিহতের বাবা আবুল বাসার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নিহতের বাবা আবুল বাসার মঙ্গলবার সকালে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার ছেলেকে খুন করেছে। সোমবার রাতে তরুণলীগ নেতা কাউছার ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা হুমকী-ধমকী দেয়।
 
তিনি আরো জানান, আমার প্রতিবন্ধি ভাতার জন্য টাকা দিয়েও ভাতা পাইনি। ওই ভাতার ঘটনা নিয়ে আমার ছেলে প্রতিবাদ করেছিল। আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগ নেতা কাউছার হোসেন আমার ছেলেকে খুন করে।
 
এদিকে ইউনিয়ন তরুণলীগের সভাপতি কাউছার হোসেন মুঠোফোনে বার্তা ২৪.কমকে বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় আমাদের মহল্লার দোকানে প্রায় শতাধিক জনসমুক্ষে নুরুল ইসলামের একটি ইভটিজিংয়ের ঘটনায় শালিসি বৈঠক হবার কথা ছিল। পরে নুরুল ইসলামের বাড়ীর লোকজন বিষয়টি সমাধান করার আশ্বাস দেয়। নুরুল ইসলাম এলাকার আলাউদ্দিন ফরাজীর মেয়েকে ইভটিজিং করেছিল। তারপর আমি হাজীগঞ্জ বাজারে চলে আসি। রাত দেড়টায় বাসায় গিয়েছি। আমি নুরুল ইসলামের হত্যার ঘটনায় জড়িত নই।
 
ভাতার কার্ডের প্রসঙ্গে কাউছার হোসেন বলেন, তারা আমার কাছে কোন টাকা দেয়নি। আওয়ামীলীগের এক সাংগঠনিক নেতার কাছে দিয়েছে। তবে তারা এখনো কোন ভাতার কার্ড পায়নি।
 
অথচ নিহত প্রতিবন্ধি নুরুল ইসলামের এক ভিডিও সাক্ষাতকারে দেখা গেছে, ওই তরুণ লীগ নেতা কাউছার হোসেনকে প্রতিবন্ধি ভাতার কার্ডের জন্য ২৭’শ টাকা দিয়েছে। তারপরও কার্ড না পাওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন মিজির কাছে অভিযোগ দিয়েও সুরাহ পায়নি বলে রয়েছে।
ঘটনাস্থলে সহকারি পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন, থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন রনি ও উপ-পরিদর্শক জাফর আহমেদ, ফারুক হোসেন পরিদর্শন করেছেন। তাঁরা জানান, নিহতের মৃতদেহ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। শরীরে কোন জখম নেই। ধারণা করা হচ্ছে তাকে পানিতে ডুবিয়ে মারা হয়। ঘটনাস্থল থেকে চশমা উদ্ধার করা হয়েছে।