• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মতলবে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় চারজন গুরুতর অসুস্থ

প্রকাশ:  ১০ জুন ২০১৯, ১৩:০৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের কাজী বাড়িতে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চারজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এরা হচ্ছেন রওশন আরা (৫০), রুনা (২৫), জিশান (২২) ও তানজিলা (২৫)। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৮ জুন রাত ১২টায়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঈদের পূর্বে ওয়ালী উল্লাহ মাস্টারের আত্মীয় ড. সামাদের স্ত্রী শরীফা ও গৃহকর্মী তানজিলা, মেয়ে রুনা এবং ছেলে জিশান কাজী বাড়িতে বেড়াতে আসে। ঘটনার দিন রাতে একই বাড়ির মমিন কাজী জুস, ড্রাইকেক ও রসমালাই নিয়ে কাজী ওয়ালী উল্লাহ মাস্টারের ঘরে আসেন।
আহত রুনা ও তানজিলা জানান, মমিন কাজী এসে আমাদের (আহতদের) জুস খাওয়ার জন্যে বার বার তাগিদ দেয়। আমরা বলি আজ খাব না, কালকে সকালে খাব। তিনি বিভিন্ন কথা বলে আমাদেরকে জুস খেতে বাধ্য করেন। জুস খাওয়ার পর পরই আমাদের চোখে ঘুম ভাব ও মাথা ঘুরানো শুরু করে। পরে আমরা জুসের বোতলের মুখ খোলা দেখি এবং জুসের বোতলের নীচে সাদা জাতীয় কিছু একটা দেখতে পাই। এ সময় আমরা এই কক্ষ থেকে বের হয়ে বাথরুমে যাওয়ার পথে চিৎকার দিয়ে পড়ে যাই। আমাদের চিৎকার শুনে মামী মাহমুদা বেগম ও অন্যরা এসে আমাদেরকে উদ্ধার করেন। তখন আমরা অচেতন হয়ে পড়ি। এ সময় মমিন কাজী বাড়ি থেকে বের হয়ে যান।
মাহমুদা বেগম জানান, তাদের চিৎকার শুনে বাহিরে গিয়ে দেখি তারা মাটিতে পড়ে আছে। পরদিন সকালে তাদের অবস্থা উন্নতি না হওয়ায় তাদেরকে নারায়ণপুর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মমিন কাজী জানান, আঃ ছাত্তার কাজীর পরিবার আমার চাচাতো বোন ও ভাগিনা হয়। তাদেরকে দেখতে আমি জুস, ড্রাইকেক ও রসমালাই নিয়ে রাতে যাই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তানজিলাকে আমি চিনি না। আগে কখনও দেখি নাই।
আধুনিক হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক ডাঃ পারভেজ ও হাসপাতালের পরিচালক মোঃ মোহন জানান, তাদের বমির ভাব ও মাথা ঘুরানোর কথা বললে আমরা তাদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করি। পরে তারা বাড়িতে চলে যান।

 

সর্বাধিক পঠিত