মতলব উত্তর-গজারিয়া ব্রীজ নির্মাণে পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণের উপর মতবিনিময় সভা

মতলব উত্তর উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি কালীরবাজার-ভাসানচর ব্রীজ। এ ব্রীজটি নির্মাণ হলে মতলব উত্তর তথা চাঁদপুরের সকল উপজেলা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও ভোলাসহ কয়েকটি জেলার মানুষ খুব সহজেই ঢাকা যাতায়াত করতে পারবে। ইতোমধ্যেই ব্রীজটি নির্মাণের জন্যে সরকার ও বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে।
এ উপলক্ষে গত ১৯ জুন বুধবার বিকেলে মতলব উত্তরের কালীরবাজারে এই ব্রীজ নির্মাণের ফলে পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণের উপর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ কুদ্দুস। পরিবেশ গবেষণা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইকিউএমএস কনসাল্টিং লিমিটেডের সহকারী কনসাল্টেন্ট মোঃ সাইফুর রহমান ও সহকারী কনসাল্টেন্ট আহমেদ জাকারিয়া সভায় উপস্থিত সকলের সাথে উন্মুক্ত আলোচনা করেন।
উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান প্রধান, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জমাদার, কৃষিবিদ মুজিবুর রহমান, ব্যবসায়ী মনজুর মিয়া স্বপন, শিক্ষানুরাগী মাসুদ আলম টিপু, মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম মোল্লা, কালীরবাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল মোল্লা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাছির আহমেদ, প্রাক্তন শিক্ষক এসএমএ রাজ্জাক, শিক্ষক আজিজুল ইসলাম আরিফ প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন মতলব উত্তর উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, বাগানবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা নান্নু মিয়া, বাগানবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল মিয়া, সাদুল্লাপুর ইউপি চেয়ারম্যান লোকমান মুন্সী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিঃ জামাল হোসেন নাহিদ, স্থানীয় ইউপি সদস্য মিলন মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা হারিস মোঃ দিপন, ইউপি সদস্য ফারুক মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য সেলিম মেম্বার, যুবলীগ নেতা আবুল কাশেমসহ মতলব উত্তর ও গজারিয়া উপজেলার ব্যবসায়ী, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
উপস্থিত সকলে মতলব উত্তর-গজারিয়া ব্রীজের গুরুত্ব তুলে ধরেন। ব্রীজটি নির্মাণ হলে মতলব উত্তর ও গজারিয়া উপজেলাবাসীর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকবে। ব্রীজটি হলে মতলব উত্তর উপজেলা একটি ইন্ডস্ট্রিয়াল এরিয়া হিসেবে রূপান্তরিত হবে এবং লাখ লাখ বেকারের কর্মসংস্থান হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ভোলাসহ কয়েকটি জেলার মানুষ অধিক অর্থ ও সময় বাঁচিয়ে রাজধানীতে যাতায়াত করতে পারবে।