• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ডাঃ মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে হামলার অভিযোগ

প্রকাশ:  ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২২:৫৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ মোঃ মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে হাসপাতালের সম্মুখে ব্যক্তি মালিকানাধীন ফেমাস ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও  প্যাথলজিতে হামলা করে ভাংচুর এবং কর্মচারীকে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ডাঃ মনিরুল ইসলাম ভাংচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ফেমাস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মাহবুবুর রহমান পিয়াস জানান, আমি ল্যাবে বসা ছিলাম। কিছু বুঝে উঠার আগেই হঠাৎ ডাঃ মোঃ মনিরুল ইসলামসহ আরো কজন ব্যক্তি এসে আমাদের ল্যাবে হামলা করে ভাংচুর চালায়। তিনি আমাদের ল্যাব কর্মচারী সজিব হোসেন (২০)কে বেদম মারধর করেন।  ঘটনাটি ঘটে গতকাল  বুধবার ৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে। ঘটনার পরপরই চাঁদপুর মডেল থানার এএসআই মোহাম্মদ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ফেমাস ডায়াগনস্টিকের কর্মচারী সজীব জানান, সকালে হাইমচর উপজেলা থেকে সুমি আক্তার নামে এক নারী তার শিশু সন্তানকে চর্ম রোগের ডাক্তার দেখাতে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে যান। সেখানে তাদের পার্শ্ববর্তী মীম ডায়াগনস্টিকের রানু নামে এক স্টাফ ওই রোগীকে হাসপাতালের নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে সার্জারি ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দেন। তখন রানু ওই রোগীকে ডাঃ মোঃ মনিরুল ইসলামকে দেখালে তিনি রোগীকে একটি পরীক্ষা করতে দেন। রানু রোগীকে তার পছন্দের ডায়াগনস্টিক (মীম ডায়াগনস্টিকে) সেন্টারে নিয়ে গেলে সেখানে পরীক্ষা বাবদ রোগীর কাছে ১৪শ' টাকা চাওয়া হয়। রোগীর কাছে টাকা কম আছে বলে তিনি মীম ডায়াগনস্টিক থেকে বের হলে সজিব তাকে ৮শ’ টাকায় পরীক্ষা করিয়ে দেয়ার কথা বললে সুমি আমাদের এখানে পরীক্ষাটি করাতে রাজি হন। সেজন্যে রানু ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে ডাঃ মোঃ মনিরুল ইসলামকে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে ক্ষেপিয়ে তুলেন। তারই সূত্র ধরে ডাঃ মোঃ মনিরুল ইসলাম ক্ষেপে এসে আমাকে মারধর করেন। আশপাশের লোকজন এসে আমাকে রক্ষা না করলে হয়তো আজ আমার মৃত্যু হতো।
যে রোগীকে নিয়ে এমন সব ঘটনা ঘটলো সেই রোগী সুমি আক্তার বলেন, যে ছেলেকে ডাক্তার মারধর করেছে সেই ছেলে ডাক্তারের সম্পর্কে খারাপ কিছুই বলেনি। হয়তো ওই রানু মহিলাটা ডাক্তারকে উল্টা পাল্টা কিছু বলেছে। কারণ, যখন আমি এই ল্যাবে পরীক্ষা করতে আসি তখন ওই রানু নামের মহিলাটি আমাকে বলেছে আপনি যেহেতু সেখানে পরীক্ষা করাচ্ছেন তাহলে ডাক্তারকে বলবো সেভাবেই আপনাকে চিকিৎসা দিতে।
এ বিষয়ে ডাঃ মনিরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে গরিব অসহায় রোগীরা সেবা নিতে আসে। কিন্তু এ প্যাথলজির মালিকগণ কিছু দালাল লালন পালন করে। তাদের কাজ হচ্ছে আমরা ডাক্তারগণ রোগীকে পরীক্ষা নিরীক্ষা দিলে তারা ওইসব ল্যাব নিয়ে এদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেয়। রোগী সুমি আক্তারের বেলায়ও তাই ঘটেছে। সে কারণে আমি শাসন করেছি। অন্যসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।

 

সর্বাধিক পঠিত