• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুরে ৩২৪টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত ও কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে

প্রকাশ:  ২০ মে ২০২০, ১১:৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। চাঁদপুরেও এর প্রভাব শুরু হয়ে গেছে। দিনের আকাশ মোটামুটি স্বাভাবিক থাকলেও মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে দেখা দেয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। এ দুর্যোগ মোকাবেলায় এরই মধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে চাঁদপুর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সকল প্রশাসন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিংও করা হয়।

জেলা প্রশাসন থেকে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, নদী এলাকায় সতর্কীকরণে মাইকিং করা হচ্ছে। চরাঞ্চলের মানুষকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় জরুরি কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। যার নং ০৮৪১-৬৩৫৯৬। চাঁদপুর সদর, হাইমচর, মতলব উত্তর, দক্ষিণসহ জেলার সকল উপজেলায় মোট ৩২৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জরুরি খাদ্যসহায়তা হিসেবে জিআর ১০০ মে. টন চাল, জিআর ক্যাশ ২ লাখ টাকাসহ শুকনো ও শিশু খাবারও রাখা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, রেডক্রিসেন্ট, রোভার স্কাউট সদস্যরাও প্রস্তুতি নিয়েছে।

উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা আম্ফানের কারণে আজ বুধবার (২০ মে) সকাল ৬টায় মহাবিপদ সংকেত জারি করা হবে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃঃ এনামুর রহমান। তিনি বলেন, আজ (মঙ্গলবার) রাতের মধ্যে সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হবে।

মঙ্গলবার (১৯ মে) ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা জানান। করোনাকালে সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আম্ফান মোকাবেলায় সবাই যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারে সেজন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। মোট আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা ১২ হাজার ৭৮টি।

বিফ্রিংয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোট আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ৫১ লাখ ৯০ হাজার লোক থাকতে পারবে। তবে সেখানে আমরা ২০ থেকে ২২ লাখ লোককে সরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। '

এদিকে বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে আজ শেষরাতে আঘাত হানতে পারে সুপার সাইক্লোন আম্ফান। এরপর থেকে বুধবার বিকেল বা সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে ভয়ঙ্কর শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়। এ সময় পাঁচ থেকে ১০ ফুট অধিক উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

সর্বাধিক পঠিত