• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুরে করোনার মহাবিপদ সংকেত : একদিনে শনাক্ত ১৮

প্রকাশ:  ২১ মে ২০২০, ০৩:৪২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

করোনাভাইরাসে চাঁদপুরকে এখন মহাবিপদ সংকেতের আওতায় বলা যায়। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে মৃত্যুর হারও বাড়ছে। একদিনে ১৮ জন শনাক্ত হওয়া, নয় ঘণ্টার ব্যবধানে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে স্বামী-স্ত্রী মারা যাওয়া এবং দশ দিনের ব্যবধানে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬ থেকে ৯৪ হয়ে যাওয়া খুবই বিপজ্জনক খবর। মানুষ যেভাবে কোনো নিয়ম-নীতি মানছে না, রোগ নিয়ে লুকোচুরি করছে, হোম কোয়ারেন্টাইন মানছে না, আক্রান্ত ব্যক্তির হোম আইসোলেশন বা হোম কোয়ারেন্টাইন মানা হচ্ছে না, তাতে খুবই ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে চাঁদপুরবাসীর জন্যে। বিশেষ করে চাঁদপুর শহর খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় গিয়ে পেঁৗছেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় মোট ৯৪ জন আক্রান্তের মধ্যে ৪৮ জনই চাঁদপুর শহরের। মাত্র দুইদিন আগে এই সংখ্যা ছিলো ৩৬। গতকাল একদিনেই শনাক্ত হলো ১২ জন।


চাঁদপুর জেলায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ক্রমাবনতির দিকে যাচ্ছে। অথচ মানুষের মাঝে এ নিয়ে উদ্বেগের ছাপ দেখা যাচ্ছে না। আর সাধারণ জনগোষ্ঠীর মাঝে যেনো নেই কোনো প্রতিক্রিয়া । কারো কোনো বোধোদয়ও নেই। খোদ চাঁদপুর শহরে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসটি যে মহামারীতে রূপ নিচ্ছে, শহরের পরিস্থিতি দেখে এর লেশমাত্রও বুঝা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে যেনো সবকিছুই স্বাভাবিক। রাস্তায় অসংখ্য মানুষ, সব ধরনের যানবাহন স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করছে। প্রশাসনের কোনো নির্দেশনাই কাজে আসছে না।

 


গতকাল বুধবার চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে মোট রিপোর্ট আসে ৮৫ জনের। এর মধ্যে পজিটিভ তথা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে ১৮ জন। এই ১৮ জনের মধ্যে মৃত তিনজন। এঁরা হচ্ছেন চাঁদপুর শহরের চিত্রলেখা এলাকার স্বামী-স্ত্রী এবং শাহরাস্তির একজন। আক্রান্ত ১৮ জনের মধ্যে চাঁদপুর শহরে ১২ জন, শাহরাস্তিতে ৪ জন, ফরিদগঞ্জে ১ জন এবং মতলব দক্ষিণে ১ জন।

চাঁদপুর শহরে আক্রান্ত ১২ জনের মধ্যে মারা যাওয়া তিনজন ছাড়া অন্য নয়জন হচ্ছেন : মমিনপাড়া এলাকার একই পরিবারের ৬ জন, জোড়পুকুর পাড় এলাকার একজন, বেগম মসজিদ সংলগ্ন একজন ও স্টেডিয়াম রোড এলাকার একজন।

গতকাল পর্যন্ত চাঁদপুর জেলা থেকে মোট স্যাম্পল পাঠানো হয়েছে ১ হাজার ২শ' ২০ জনের। রিপোর্ট এসেছে ১ হাজার ৫৭ জনের। এর মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন ৯৪ জন। এই ৯৪ জনের মধ্যে মারা গেছেন ৮ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ২১ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৭২ জন।

সর্বাধিক পঠিত