• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মতল উত্তরে করোনায় গণভবনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মৃত্যু

প্রকাশ:  ৩০ মে ২০২০, ০৯:০৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

মতলব উত্তর উপজেলার সুলতানাবাদ ইউনিয়নের ফরিদকান্দি গ্রামের মোসলেম উদ্দিন বেপারী (৬০) করোনায় মারা গেছেন। তার বাবার নাম হাসমত বেপারী। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার কিছু সময় পর ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে তাকে আবার গ্রামের বাড়ি মতলব উত্তর উপজেলার সুলতানাবাদ ইউনিয়নের ফরিদকান্দির নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুশরাত জাহান মিথেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, করোনায় আক্রন্ত হয়ে মারা যাওয়া মোসলেম উদ্দিন বেপারী গণভবনে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে চাকুরি করেন। গত প্রায় ৭ দিন আগে করোনার উপসর্গ নিয়ে (জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে) করোনার নমুনা দেন ঢাকায়। তার একদিন পর করোনার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তার শরীরের অবস্থা খারাপ পর্যায়ে ছিল, শ্বাসকষ্ট বেশি ছিল। এরপর তিনি হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে করোনা পজেটিভ নিয়েই তার গ্রামের বাড়ি মতলব উত্তর উপজেলায় আসেন। বিষয়টি জানতে পেরে গত ৪ দিন আগে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গণভবনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী মোসলেম উদ্দিন বেপারীকে তার বাড়িতেই আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করেন। শুক্রবার (২৯ মে) অবস্থা আরো খারাপ হলে ঢাকা নেওয়ার পথিমধ্যে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটের সময় তিনি মারা যান। তার মরদেহ নিজ বাড়িতে বিশেষ ব্যবস্থায় দাফনের প্রস্তুতি চলছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে।

সুলতানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মনজুর মোরশেদ স্বপন জানান, উপজেলা প্রশাসন ও থানার ওসি’র নির্দেশে বৃহস্পতিবার আমি চেষ্টা করেছিলাম মোসলেম উদ্দিনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিতে। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় বাড়িটি লকডাউন করা হয়। এরপর আমি তাকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করি। আজ শুক্রবার তিনি মারা গেলেন। তাকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফনের প্রক্রিয়া চলছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেন আরো জানান, মৃত ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন বিধায় তার আর নমুনা সংগ্রহ করা হবে না। তাকে বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন করা হবে। সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ জানান, আমি যতটুকু জেনেছি তিনি গণভবন এলাকায় নমুনা দিয়েছেন। এরপর মতলব উত্তরে নিজ বাড়িতে চলে আসেন। শুক্রবার অবস্থা খারাপ হলে ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।