মতলব দক্ষিণে রাতে ভয়াবহ দুটি অগ্নিকাণ্ড

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় রাতে দুটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বসতঘর, গোয়ালঘর, খরের গাদা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে পুড়ে প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন।

২ জুন মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের নাগদা ও নারায়ণপুর ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামে রাত সাড়ে ১০টায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

এলাকাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নাগদ গ্রামের শাহজালাল প্রধানের খরের পাড়ায় রাত ৮টায় আগুন জ্বলতে দেখে জনৈক পথচারী ডাকচিতকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে।

সংবাদ পেয়ে মতলব দক্ষিণ উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট,থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার আইচ ঘটনাস্থলে আসলে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় প্রায় আধাঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনে।

ক্ষতিগ্রস্ত শাহজালালের দাবি, কেউ হয়তোবা এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

এ ঘটনার পর রাত সাড়ে ১০ টায় বদরপুর গ্রামের মৃত আমির হোসেন পাটওয়ারীর ছেলে আলমগীর হোসেন পাটওয়ারীর পরিত্যক্তব দুটি বসত ঘর ও একটি গোয়ালঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে,আলমগীর পাটওয়ারীর পরিত্যাক্ত বসতঘরে আগুন জ্বলতে দেখে বাড়ীর এক মহিলা ডাকাডাকি করতে থাকে। মুহূর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা পাশের একটি ঘর ও একটি গোয়াল ঘরে লেগে যায়।

মতলব ফায়ার ষ্টেশনে সংবাূদ পাওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্য ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এবং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে চলে আসে। এলাকার ষুবকদের সহায়তায় প্রায় ঘণ্টব্যাপি চেষ্টার পর আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে দুটি বসত ঘর ও গোয়াল ঘর রক্ষা করতে না পারলেও আশপাশের ৫/৬ টি বসত ঘর রক্ষা হয়েছে।

মতলব দক্ষিণ উপজেলার ফায়ার ষ্টেশনের ষ্টেশন অফিসার আসাদুজ্জামান বলেন,অগ্নিকাণ্ডের কোন কারন জানা যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরে মানুষজন কেউই থাকেনা এবং ওই ঘরে বিদ্যুৎও নেই। যার ফলে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত জানা যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত আলমগীর বলেন,শত্রুরতা বশত এ অগ্নিসংযোগ করেছে এলাকার কেউ।

থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার আইচ বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পাওয়ামাত্র ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সকলেই আন্তরিক ভাবে কাজ করায় বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। তবে অগ্নিকাণ্ডের কোন কারণ জানা যায়নি।