• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

নির্ধারিত যাত্রী নিয়েই চলছে চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রূটের মেঘনা এক্সপ্রেস

প্রকাশ:  ১৫ জুন ২০২০, ১০:০৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

দীর্ঘ ৭০ দিন পর চাঁদপুরে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সক্ষমতার ৫০ শতাংশ কম যাত্রী নিয়ে একটি মাত্র আন্তঃনগর ট্রেন যাত্রী পরিবহন করছে। দিনের বেলায় আর কোনো ট্রেন নেই। এ কারেণ নৌপথে দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে চাঁদপুরে আসা বহু যাত্রী এবং স্থানীয় যাত্রী সাধারণের অনেকই মেঘনা ট্রেনে চড়তে পারছে না। ভুক্তভোগী যাত্রীদের এমন অভিযোগ। তারা হতাশ হয়ে স্টেশন থেকে ফিরে যাচ্ছে।


পর্যবেক্ষক মহলের মতে, যেখানে যাত্রী সঙ্কটের কারণে চাঁদপুর-ঢাকা রুটের নির্ধারিত লঞ্চগুলোর অর্ধেকই চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে লঞ্চ মালিকরা, সেখানে ট্রেনের প্রচুর যাত্রী হওয়া সত্ত্বেও চট্টগ্রাম রুটের ট্রেন বাড়ানো দরকার। গত ৪ জুন থেকে চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটের মেঘনা এঙ্প্রেস (৭২৯আপ/৭৩০ডাউন) ট্রেনটি চলাচল শুরু করে। এদিন ভোর পাঁচটার সময় চাঁদপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে অনলাইনে টিকেট করা যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি ছেড়ে যায়।

 


চাঁদপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সোয়াইবুল সিকদার জানান, চাঁদপুর রেল রুটে একটি মাত্র ট্রেন চলছে। রেল ভ্রমণের ক্ষেত্রে যাত্রীরা শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করছে। এমনিতে রেলওয়ে নিরাপদ বাহন হিসাবে স্বীকৃত।

তিনি বলেন, গত ৪ জুন থেকে এ যাবৎ ট্রেনের কোনো যাত্রী সঙ্কট নেই। চাঁদপুর-চট্টগ্রামের যতটা কোটা রয়েছে অর্থাৎ ৫০% যাত্রী ফুলফিল করেই ট্রেনটি আসা-যাওয়া করছে।

তিনি বলেন, আমাদের টিকেট কাউন্টার বন্ধ। এখান থেকে কোনো টিকেট দেয়া হয় না। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক নির্ধারিত টিকেট অনলাইনে বিক্রির পরও দক্ষিণাঞ্চল থেকে বাড়তি অনেক যাত্রী স্টেশনে আসছে। আমরা তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছি। বিকল্প রুটে বাসে যাবার জন্যে বাসস্ট্যান্ডে পাঠিয়ে দিচ্ছি। আপাতত মেঘনা এঙ্প্রেসই চলছে। নতুন করে ট্রেন চলাচলের নির্দেশনা আমরা পাইনি।

স্টেশন মাস্টার আরো জানান, ১৮টি বগি সংযুক্ত মেঘনা নিয়ম মেনেই চলাচল করছে। করোনা সংক্রমণ রোধে ট্রেনের ভিতর যাত্রীদের খাবারের জন্যে যে বুফে কার রয়েছে সেটিও বন্ধ রাখা হয়েছে।

এ দিকে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময় সীমিত পরিসরে চলাচলরত ট্রেনের জন্য যাত্রীদের কঠোর স্বাস্থ্য নির্দেশনা প্রতিপালন করা হচ্ছে। শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে এবং মাস্ক পরিহিত অবস্থায় যাত্রীকে ট্রেনে উঠানো হয় এবং যাত্রীর বসার সীটে জীবানুনাশক স্প্রে করা হয়।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সাধারণ ছুটি শুরু হলে দেশে রেলওয়ে সেবা বন্ধ হয়ে যায় ২৫ মার্চ থেকে। এর মধ্যে ৩১ মে থেকে সক্ষমতার ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি সাপেক্ষে ট্রেন সেবা সীমিত পরিসরে চালু হয়।

সর্বাধিক পঠিত