• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

হরিসভায় চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধে ফাটল

প্রকাশ:  ০৮ জুলাই ২০২০, ০৯:৫৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের পুরাণবাজার হরিসভা এলাকায় নতুন করে আবারও ফাটল দেখা দিয়েছে। যার ফলে ভাঙ্গন এলাকার দুটি বাড়ির ৮ পরিবারের লোকজন খুবই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। ভাঙ্গন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থাগ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।


মঙ্গলবার ৭ জুলাই বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে হরিসভা এলাকার মধু বণিকের বাড়ির পিছনে প্রায় ২৫ মিটার বাঁধের পুরানো বস্নক তলিয়ে গেছে। এরপরেই স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের কার্যসহকারী হুমায়ুন কবির জানান, হরিসভা এলাকাটিতে পানির গভীরতা ও স্রোত বেশি। এছাড়াও বর্তমানে উজানের পানি নামার কারণে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাঙ্গন মোকাবেলায় আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে। ২০১৯ সালে হরিসভা এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯৩ হাজার বালু ভর্তি জিও টেঙ্টাইল ব্যাগ ফেলা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা জানান, চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের পুরাণবাজার এলাকায় ১৪শ' ৩০ মিটারের মধ্যে প্রায় ৮শ' মিটার ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে পুরাণবাজার এলাকায় দেওয়ান ঘাট, পুরাণবাজার ঠোঁডা, দোল মন্দির, বাকালি পট্টি, হরিসভা মোড়, বণিক বাড়ি, হরিসভা মন্দির কমপ্লেঙ্, মুক্তিযোদ্ধা নুরু বকাউল বাড়ি ও রনা গোয়াল এলাকা রয়েছে।

এদিকে গত বছর হরিসভা কমপ্লেঙ্ এলাকায় ব্যাপক ভাঙনে ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে তলিয়ে যায়। এরপর শিক্ষামন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বললে পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যান। পরে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির হস্তক্ষেপে ভাঙ্গন প্রতিরোধে এ পর্যন্ত ৯৩ হাজার জিও টেঙ্টাইল ব্যাগ ফেলা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বনাথ বণিক জানান, হরিসভা রোডের মন্দিরের পশ্চিম পাশের নগেন্দ্র চন্দ্র বণিক মহাশয়ের বাড়ি ও অবণী মোহনের বাড়িতে ২০টি পরিবার ছিলো। গত বছরের ভাঙ্গনে প্রায় ১২টি পরিবারের বসত ঘর নদী গর্ভে চলে যায়। এখন আবার ৮ পরিবার ভাঙ্গনের হুমকিতে। এ দুই বাড়ির পিছনে গত দু'দিন আগ থেকে পুরানো বাঁধে প্রায় ২৫ মিটার ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। যার ফলে দুই বাড়ির দুলাল বণিক, বিশ্বনাথ বণিক, শিশির বণিক, অনু দে, লিটন দে, সুভাস দাস, লিটন নন্দী ও সুখরঞ্জন নন্দীর পরিবার এখন আতঙ্কে আছে।

স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মানিক সাহা বলেন, নদীতে পানি বেড়েছে। ঢেউ ও স্রোত বেশি। পানি এখন রস্তার সমানে সমান। আমাদের ব্যবসা বন্ধ। হরিসভার মূল রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা না নিলে পুরো এলাকা মেঘনায় তলিয়ে যাবে।

চাঁদপুরের দক্ষিণাঞ্চল নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ কমিটির নেতা মমতাজ উদ্দিন মন্টু গাজী জানান, মেঘনার ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় আমরা দীর্ঘদিন আন্দোলন করে যাচ্ছি। গত বছর হরিসভা এলাকায় বিশাল ভাঙ্গন দেখা দিয়েছিলো। অনেক কাজ করা হয়েছে। কিন্তু কিছু অংশে কাজ করা হয়নি। সেখানেই এখন নতুন করে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। দ্রুত কাজ না হলে গত বছরের ৫ কোটি টাকার কাজ বিফলে যাবে।

সর্বাধিক পঠিত