• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

সংরক্ষিত আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ফরিদগঞ্জের পাঁচ নারী

প্রকাশ:  ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:১০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

জাতীয় সংসদের আসন্ন সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়ন যুদ্ধে নেমেছেন নারী নেত্রীরা।  ফরিদগঞ্জ উপজেলার অন্তত ৫ জন প্রার্থী এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। এরা হলেন : আওয়ামী মহিলা আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেত্রী ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডঃ নাজমুন নাহান অনি, আওয়ামী যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাসিমা লোকমান, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সাবেক সদস্য ডাঃ বদরুন নাহার ভূঁইয়া, ইতালি প্রবাসী মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডঃ সানজিদা মাহবুব সুমি ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টের লেকচারার ডাঃ সাবরিনা বিনতে হক। ইতিমধ্যেই তারা দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমাও দিয়েছেন।
জানা গেছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর নিয়মানুযায়ী সংরক্ষিত ৫০টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪৮ আসনে তাদের প্রার্থী দিবে। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন সংরক্ষিত আসনের তফসিল ঘোষণা করেছেন। তবে তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বিভিন্ন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং প্রভাবশালী নেতাদের কাছে মনোনয়ন নিশ্চিতে তদবিরে ব্যস্ত ছিলেন। এমপি হওয়ার স্বপ্নে তারা দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। এ বছর চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বেশ ক’জন নারী নেত্রী দলীয় মনোনয়ন পেতে উঠে পড়ে লেগেছেন। তবে সংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলার নারীরা। উপজেলার অন্তত ৫ জন প্রার্থী এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন।
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র, বঙ্গবন্ধুর হত্যার ঘটনায় ফরিদগঞ্জে প্রথম প্রতিবাদকারী কারা নির্যাতিত নেতা যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারীর মেয়ে আওয়ামী মহিলা আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেত্রী ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডঃ নামমুন নাহান অনিও মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি ইতিপূর্বে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েছেন। মনোনয়ন না পেলেও নৌকার বিজয়ে নিরলস কাজ করেছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি রক্তে মাংসে আওয়ামী পরিবারের সদস্য। ছাত্রজীবন থেকে দলের জন্যে কাজ করেছি, এখনো করছি, সামনেও করবো। জনপ্রতিনিধি হওয়ার জন্যে বঙ্গবন্ধু কন্যার স্নেহাশীষ প্রার্থী।
আওয়ামী যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলার শিকার হয়ে পঙ্গুত্বের শিকার হওয়া নাসিমা লোকমান। নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এখনো দলের জন্যে কাজ করছেন তিনি। ২০০৮ থেকে প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশা করে তিনি জানান, মহিলা যুবলীগের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলের জন্যে কাজ করছি। ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলায় মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচলেও পঙ্গুত্বের শিকার হয়ে এখনো যন্ত্রণা ভোগ করছি। জনপ্রতিনিধি হওয়ার স্বপ্ন আশা করছি বঙ্গবন্ধু কন্যা পূরণ করবেন।
আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সাবেক সদস্য ডাঃ বদরুন্নাহার ভূঁইয়া দলের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ অব্যাহত রেখেছেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, দলের জন্যে কাজ করছি, তাই প্রত্যাশা রয়েছে।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল বাশার কালু পাটওয়ারীর কন্যা ইতালি প্রবাসী মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডঃ সানজিদা মাহবুব সুমিও মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি ছাত্রজীবন থেকে দলের জন্যে কাজ করছেন। প্রবাসের পাশাপাশি নিজ এলাকা চাঁদপুর ও শ^শুর বাড়ি মাদারীপুরে দলের জন্যে কাজ করছেন। দুঃসময়ে দলের পাশে থাকায় তিনি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য সদ্য প্রয়াত ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়ার কন্যা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টের লেকচারার ডাঃ সাবরিনা বিনতে হকও মনোনয়ন প্রত্যাশী। ছাত্রজীবন থেকে তিনিও রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন। এতোদিন সামনে না আসলেও পিতার আকস্মিক মৃত্যুতে তিনি এবার সামনে এসেছেন। তিনিও দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন পিতার অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে।