৫২নং মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের বিদায়ী সংবর্ধনা


চাঁদপুরের ৫২নং মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব রাবেয়া আক্তারের অবসরজনিত বিদায় উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর ) বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাজমা বেগম বলেন, শিক্ষকতা কেবল একটি পেশা নয়, এটি জাতি গঠনের মহৎ দায়িত্ব। জনাব রাবেয়া আক্তার তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে সেই দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি শিক্ষার্থীদের শুধু পড়ালেখায় নয়, মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠতে সহায়তা করেছেন। তাঁর মতো একজন সৎ, পরিশ্রমী ও মানবিক শিক্ষকের অবদান এই বিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী ও শিক্ষক মনে রাখবে। এমন শিক্ষকরা প্রাথমিক শিক্ষাকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়েছেন।
বিদায়ী প্রধান শিক্ষক এর বক্তব্যে, রাবেয়া আক্তার আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, এই বিদ্যালয় আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। এখানে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত আমার কাছে অমূল্য। ২০০৫ সালে যোগদান এর পর থেকে আজ ২০২৫ সাল দীর্ঘ এই ২০ টি বছর আমার পরিবার এর মতো ছায়া দিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি সব সময়। শিক্ষার্থীরা যখন ভালো ফল করে কিংবা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়, তখনই মনে হয় আমার জীবন সার্থক। সহকর্মী, অভিভাবক ও এলাকার মানুষের ভালোবাসা ও সহযোগিতা না পেলে এতদূর আসা সম্ভব হতো না। অবসরের পরও আমি সবসময় এই বিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের জন্য দোয়া করে যাবো।
অভিভাবক কমিটির সভাপতি- আল-আমিন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক উপজেলা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি ফারুক খান ও কাউসার হামিদ, প্রধান শিক্ষক শাহনাজ বেগম, ব্যাংকার হাসান সিদ্দিক হিরা, শিক্ষক মনির মোল্লা, ব্যবসায়ী মিজান খান ও সাবেক শিক্ষার্থী রাজন গাজী সহ স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সহকারী শিক্ষক ইয়াসিন খান। সাবেক শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ করেন মো: সবুজ গাজী। উক্ত অনুষ্ঠানে এছাড়াও বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক-শিক্ষিকা, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে, উক্ত বিদ্যালয়ের সাবেক ম্যানেজিং কমিটি, উক্ত বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের পক্ষ থেকে প্রধান শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠানে ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং স্মৃতি হিসেবে অনেক ধরনের উপহার দিয়ে বিদায় অনুষ্ঠানটি স্মরণীয় করে রাখা হয়।