চান্দ্রায় ইমাম কর্তৃক ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রী
![](/assets/news_photos/2020/07/05/image-27510-1593936119.jpg)
![](https://www.chandpurpost.com/templates/web-v1/images/icon_print_new.png?v=1.1)
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রোড রাশেদিয়া জামে মসজিদের ইমাম ফয়সাল আহমেদ খান মাদ্রাসা ছাত্রীকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রীটি দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর ধর্ষণের ঘটনাটি জানাজানি হলে লম্পট ইমাম এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে।
ধর্ষিতার মা জানান, রাশেদিয়া জামে মসজিদের ইমাম ফয়সালের কাছে প্রতিদিন সকাল ছয়টায় মেয়েটি কোরআন শরীফ তেলাওয়াতের জন্যে মসজিদে যেতো। এ সময় লম্পট ফয়সাল মসজিদের অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীকে ছুটি দেয়ার পর মসজিদের সাথে তার রুম পরিষ্কার করার জন্য বলে। ইমাম ফয়সাল সুযোগ বুঝে তার রুমে ঢুকে দরজা আটকে জোরপূর্বক মেয়েকে ধর্ষণ করে। মেয়েকে ভয়-ভীতি দেখানো হয় এবং হুমকি দিয়ে প্রতিদিন তার সাথে অবৈধ মেলামেশা করে।
মেয়ে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর বুঝতে পেরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অবশেষে সে ঘটনা খুলে বলে। ঘটনাটি জানাজানি হলে ফয়সাল মেয়েকে বিয়ে করবে বলে আশ্বস্ত করে।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মান্নান হাজী জানান, মসজিদে পড়তে আসা এক মাদ্রাসা ছাত্রীর সাথে অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ইমাম ফয়সাল গা-ঢাকা দিয়েছে। আমরা চাই অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটি যাতে সঠিক বিচার পায়।
এ বিষয়ে ১২নং চান্দ্রা ইউপি চেয়ারম্যান খানজাহান আলী কালু পাটোয়ারী জানান, মাদ্রাসার ছাত্রীকে ইমাম কর্তৃক ধর্ষণের পর অন্তঃসত্ত্বা হলে তার পরিবারবর্গ ইউনিয়ন পরিষদে এসে অভিযোগ করে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ফয়সাল পালিয়ে গেছে। এই ঘটনায় আইনগতভাবে দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা প্রয়োজন। কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেয়া হবে না।