• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

শিশুর দাঁতের ক্ষয়

প্রকাশ:  ০৯ আগস্ট ২০১৮, ১০:২৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

অনেকেরই ভাবনা, শিশুর প্রথম যে দাঁত উঠে, সেগুলো তো কিছুদিন পর পড়ে যায়। এত যতœ নেয়ার প্রয়োজন কী? এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন। শুরু থেকেই শিশুর দাঁতের যতœ নিন। এ সময় যতেœ অবহেলা করলে দাঁতে জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে।

 

শুধু তাই নয়, প্রথমে ওঠা দাঁতগুলো দ্রুত পড়ে গেলে সঠিক বয়সে দাঁত গজাতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতে শিশুর কথা বলার ক্ষেত্রেও সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

 

 

জন্মের ৬ থেকে ৮ মাস বয়সে শিশুর ওপরের পাটিতে দুটি দাঁত গজায়। একইভাবে দুটি দাঁত গজায় নিচের পাটিতেও। এভাবে মোট ৪টি দাঁত গজায়।

 

এর পর আড়াই বছর বয়স থেকে তিন বছর বয়সে ওপরের এবং নিচের পাটি মিলিয়ে শিশুর সাধারণত ২০টি দাঁত গজায়। তবে শিশুর শরীরে যদি ক্যালসিয়ামের অভাব থাকে, তা হলে দাঁত বের হতে দেরি হয়। অথবা দাঁত বের হলেও সেগুলোর সঠিকভাবে বৃদ্ধি ঘটে না।

 

দাঁতের ক্ষয় শিশুদের সাধারণ সমস্যা। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ২৮ শতাংশ বাচ্চার, বিশেষ করে ২-৫ বছর বয়সী শিশুরা দাঁতের ক্ষয় বা ক্যাভিটির সমস্যায় ভোগে। তাই শিশুর দাঁতের যতœ নিতে হবে শুরু থেকেই।

 

দাঁতের রোগ এমন এক সমস্যা যেখানে কিছু ক্ষারীয় বস্তু থেকে কিছু ব্যাকটেরিয়ার উৎপত্তি ঘটে ও দাঁতের বাইরের স্তর বা এনামেল নষ্ট করে দেয়। আস্তে আস্তে এই নষ্ট হয়ে যাওয়া স্তর থেকে গর্তের সৃষ্টি করে।

 

খাবারের ওপরে অনেকটা নির্ভর করে দাঁতের সমস্যা। আজকাল শিশুরা খুব বেশি মাত্রায় চিনি বা ক্ষারীয় পদার্থ খেয়ে থাকে, যা দাঁতের বেশ ক্ষতি করে। শিশুকে ওসব খাওয়া থেকে আটকানো একপ্রকার অসম্ভব। তাই এসব খাবার খাওয়ার পর দাঁতের সম্পূর্ণ যতœ নিতে হবেন। চিনিযুক্ত পানীয় দাঁতের যথেষ্ট ক্ষতি করে। আবার বিভিন্ন অসুখ যেমন অ্যালার্জি থেকেও হতে পারে দাঁতের সমস্যা।

 

সব শিশুর ক্ষেত্রে দাঁত ক্ষয়ের লক্ষণ এক নয়। কারো ক্ষেত্রে হয়ত নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ, আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় শিশুর খেতে বা খাবার চিবোতে অসুবিধা হচ্ছে। অনেক শিশুর ক্ষেত্রে দাঁতের রঙ পালটে যায়। আপনি যদি এর মধ্যে কোনো লক্ষণ দেখেন তা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

 

দাঁত ও মুখের সঠিক যত্ন নিশ্চিত করতে দিনে অন্তত দু’বার দাঁত ব্রাশ করান। শিশুর খাওয়ার ধরণটা পালটান। যদি দাঁতের কোনো সমস্যার লক্ষণ দেখেন, তা হলে প্রতিবার খাওয়ার পর দাঁত মাজার অভ্যাস করান।

 

লবণ পানি দিয়ে মুখ কুলকুচি করা। হলুদ, লবঙ্গ, রসুন ও দারুচিনির তেল, এগুলো খুবই প্রচলিত ঘরোয়া উপশমের উপায় এইসব ক্ষেত্রে। এগুলো শিশুদের জন্য করাও সোজা এবং আরামদায়ক হবে। সবচেয়ে ভালো কথা, এগুলোর কোনো ক্ষতিকারক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।

সর্বাধিক পঠিত