• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে দালালের উপদ্রব

প্রকাশ:  ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:৪২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই চুরির ঘটনা ঘটে চলছে। আর হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে রোগীরা। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা এ হাসপাতালের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলতে বসেছে। জানা যায়, হাসপাতালের টিকেট কাউন্টার, ঔষধ কাউন্টার ও ডাক্তারের কক্ষের সামনে সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকা রোগীদের মোবাইল ও টাকা চুরি হয়ে থাকে। আর এসব চোর চক্র হচ্ছে নারী। এ চক্রটি টিকেট কাটা, ঔষধ নেওয়া ও ডাক্তার দেখার নাম করে রোগীদের সাথে সিরিয়ালে দাঁড়ায় এবং রোগীদের ও তাদের লোকদের ব্যাগ হতে সুকৌশলে মোবাইল ফোন ও নগদ টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেয়। কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালাল চক্রও চুরির সাথে জড়িত রয়েছে বলে অনেকে জানান। তারা টিকেট ক্রয়, ঔষধ সংগ্রহ ও ডাক্তার দেখানোর নাম করে চুরি করে। এভাবে প্রতিনিয়ত হাসপাতালে চুরির ঘটনা ঘটছে। যার ফলে রোগী ও তাদের স্বজনরা নিরূপায় হয়ে পড়েছে।
    গত বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় ২১৭ নাম্বার রুমের সামনে রেখা বেগম নামে এক নারী তার শিশু সন্তানকে ডাক্তার দেখানের জন্যে সিরিয়ালে দাঁড়ান। কিছুক্ষণ পর দেখতে পান তার ব্যাগে থাকা মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও ভোটার আইডি কার্ড চুরি হয়ে গেছে। গত মঙ্গলবার ঐ কক্ষের সামনে হতে এক নারীর মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা চুরি হয়ে যায়। ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর চাঁদখাঁর বাজার এলাকার ঝুমুরের ব্যাগ থেকেও ২ হাজার টাকা চুরি হয়। এমনিভাবে প্রতিনিয়ত হাসপাতালে চুরির ঘটনায় মানুষজন হতাশ হয়ে পড়েছে। একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চুরিরোধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। হাসপাতালে চুরি বন্ধে পুলিশি নিরাপত্তা এবং সচেতনতা প্রয়োজন। আর চোরের হাত থেকে রক্ষা পেতে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তদারকি প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করেন। এ ব্যাপারে হাসপাতালের আরএমও ডাঃ আসিবুল আহসান বলেন, আউটডোর থেকে টিকেট নিতে না আসলেও টিকেট নেয়ার ভান করে দাঁড়িয়ে থেকে চুরি করে। আবার কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালাল রয়েছে, তারাও সেখানে ঘোরাফেরা করে থাকে। স্ব স্ব ডাক্তারের রুমের সামনে টিকেট কাউন্টার করার চেষ্টা করে আসছি। যার ফলে এক জায়গায় রোগীর চাপ কম থাকবে ও চুরি বন্ধ হবে। ওয়ার্ডেও চুরি হয়ে থাকে। রাতের বেলায়ও চুরি হচ্ছে।

 

সর্বাধিক পঠিত