• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালক নেই

স্বাস্থ্য কর্মকর্তার গাড়ি না এলেও চালক হাজির!

প্রকাশ:  ২০ জুন ২০১৯, ০৯:২৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালক নেই। তাই অ্যাম্বুলেন্স থেকেও রোগীদের দুর্ভোগ কমছে না।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, এই হাসপাতালে প্রতি মাসে গড়ে ১২ হাজার রোগী সেবা নিয়ে থাকেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আগের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সটি মেরামতের অযোগ্য হিসেবে গত ৫ বছর হাসপাতাল গ্যারেজে পড়ে ছিল। পরবর্তীতে স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার হিসেবে নতুন অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা হয়। যা গত বছরের ২৩ অক্টোবর সংসদ সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। কিন্তু চালকের অভাবে এই উপজেলার ৪ লাখ জনগোষ্ঠীর কোনো কাজে আসছে না অ্যাম্বুলেন্সটি। আবার হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নতুন বরাদ্ধের পাজারো গাড়ি এখনো আসেনি। তবু এসেছেন গাড়ির চালক। এমন গাফলতির দায়ভার কে নিবে প্রশ্ন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলাবাসীর।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর অভিভাবকরা বলছেন, চালকের অভাবে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতসহ হাসপাতালে আসা মুমূর্ষু রোগীদের কাজে আসছে না নতুন মডেলের আধুনিক ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সরকারি ওই অ্যাম্বুলেন্সটি।
হাসপাতালটি জেলার মধ্যবর্তী স্থান ও কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে হওয়ায় এবং রেলপথ, স্থলপথ ও নদীপথের সংযোগ থাকা পার্শ¦বর্তী উপজেলা কচুয়া, শাহরাস্তি, ফরিদগঞ্জ, মতলব ও চাঁদপুর সদর এবং লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার একাংশের জনগণ স্বাস্থ্যসেবা নিতে প্রতিনিয়ত ছুটে আসেন এই হাসপাতালে।
কবে নাগাদ চালক নিয়োগ হবে তা জানেন না উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আনোয়ারুল আজিম। তিনি জানান, জরুরি মুহূর্তে রোগীর জন্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা না পাওয়াটা কষ্টদায়ক। বিশেষ করে আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারের লোকদের জন্য। এ বিষয়ে সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তমসহ সংশি¬ষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, হাজীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার জন্য নতুন পাজারো গাড়ি বরাদ্ধ হয়েছে। অথচ গাড়ি আসার পূর্বেই চালক নিয়োগ হয়েছে। এখন চালক আছে, গাড়ি নাই।
এদিকে নিয়োগকৃত চালক হারুন জানান, আমি এখন হাসপাতালের রোগীদের স্বার্থে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অনুরোধে অ্যাম্বুলেন্স চালাই।

 

সর্বাধিক পঠিত