• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

করোনা টিকার প্রথম ডোজ শেষ হ‌চ্ছে ২৬ ফেব্রুয়া‌রি

প্রকাশ:  ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০:৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ এ বি এম খুরশিদ আলম। সেদিন সারা দেশে এক কোটি টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই দিনের পর থেকে করোনার দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হবে। আজ মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় এ বি এম খুরশিদ আলম বলেন, এরপর আর টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে না। এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার ডোজ নিয়ে ব্যস্ত থাকবে।

এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে ৭৬ লাখ ডোজের বেশি টিকা দেওয়া হয়েছিল এক দিনে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব মিলিয়ে ২৭ কোটি ৬৭ লাখ ২৪ হাজার ৭২০ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা দেশে এসেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, করোনা আক্রান্ত হয়ে যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের বেশির ভাগই টিকা নেয়নি। যারা টিকা নিয়েছে তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার কম এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রবণতাও কম। এ অবস্থায় আমরা সবাইকে আহ্বান করছি সবাই করোনার টিকা নিন এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন, দেশকে সুরক্ষিত রাখুন।

তিনি বলেন, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি আমরা দেশব্যাপী করোনার ভ্যাকসিনের একটা ক্যাম্পেইন করতে যাচ্ছি। সেখানে আমরা লক্ষ্যমাত্রা রেখেছি সর্বোচ্চসংখ্যক টিকা দেওয়ার। এ ক্ষেত্রে আমরা সবাইকে আহ্বান করি আপনারা সবাই এই ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে টিকা নিন। এর মাধ্যমে আমাদের প্রথম ডোজ দেওয়ার কাজ সমপন্ন করা হবে। পরবর্তী সময়ে আমরা বুস্টার ডোজ এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকব। কাজেই আর বিলম্ব না করে আপনারা সবাই টিকা নিয়ে নিন।

গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া শুরু হয়। দুই মাস পর ৮ এপ্রিল শুরু হয় দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম। আর গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, সোমবার পর্যন্ত সারা দেশে করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে ১০ কোটি ৯ লাখ ১১ হাজারের বেশি মানুষ, যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের মতো। তাদের মধ্যে সাত কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ দ্বিতীয় ডোজ এবং ২৬ লাখ ৯৪ হাজারের বেশি মানুষ তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ পেয়েছে।

সর্বাধিক পঠিত