• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

৪ বছর ধরে ভারতের বিশাখাপট্টনম থেকে গোরখপুরে গেছে মালগাড়ি

প্রকাশ:  ৩০ জুলাই ২০১৮, ০১:০২ | আপডেট : ৩০ জুলাই ২০১৮, ০৮:৩৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
রেল কর্মকর্তাদের চমকে দিয়ে সেই প্রায় দেড় হাজার ব্যাগ সার নিয়ে উত্তর প্রদেশের বস্তি স্টেশনে গত বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে পৌঁছায় চার বছর আগে রওনা দেওয়া মালগাড়িটি। ছবি: সংগৃহীত
প্রিন্ট

৪২ ঘণ্টা ১৩ মিনিটের পথ পেরোতে লাগল প্রায় চার বছর! ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপট্টনম থেকে উত্তর প্রদেশের গোরখপুর পর্যন্ত দূরত্ব ১ হাজার ৩২৬ কিলোমিটার। এই দূরত্ব পার হতে সাধারণত ৪২ ঘণ্টা ১৩ মিনিটের মতো সময় লাগে। অথচ সারবোঝাই রেলের একটি মালগাড়ি এ দূরত্ব অতিক্রম করেছে প্রায় চার বছরে।

চার বছর আগে ২০১৪ সালের ১০ নভেম্বর বিশাখাপট্টনম স্টেশন থেকে ১ হাজার ৩১৬ ব্যাগ ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) নিয়ে রওনা দেয় মালগাড়ির একটি ওয়াগন। দুই দিনের মধ্যেই তা পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল উত্তর প্রদেশের বস্তি স্টেশনে। পৌঁছায়নি। কারও খেয়াল ছিল না বলে কেউ খোঁজখবরও নেয়নি।

রেল কর্মকর্তাদের চমকে দিয়ে সেই প্রায় দেড় হাজার ব্যাগ সার নিয়ে উত্তর প্রদেশের বস্তি স্টেশনে গত বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে পৌঁছায় একটি মালগাড়ি। নথিপত্র দেখে, রেকর্ড ঘেঁটেঘুঁটে তো চক্ষু চড়কগাছ রেল কর্মকর্তাদের। প্রায় দেড় হাজার ব্যাগ সার তো বিশাখাপট্টনম স্টেশনে মালগাড়িতে চাপানো হয়েছিল ২০১৪ সালের ১০ নভেম্বর!

এমন কীভাবে হলো?
উত্তর-পূর্বাঞ্চল রেলের মুখ্য জনসংযোগ অফিসার সঞ্জয় যাদব জানান, চলতে চলতে মালগাড়ির কোনো ওয়াগন বা বগি কোথাও বিকল হয়ে পড়লে সেটাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় রেল ইয়ার্ডে। এ ক্ষেত্রেও মনে হচ্ছে তেমনটাই ঘটেছিল। বিষয়টি তদন্ত করে জানা যাবে ত্রুটিটি কোথায় ছিল।

কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, প্রাপকের নাম উত্তর প্রদেশের বস্তির এক ব্যবসায়ী রামচন্দ্র গুপ্তা। তাঁর নামে বিশাখাপট্টনম স্টেশনে ১ হাজার ৩১৬ ব্যাগ সার মালগাড়ির একটি ওয়াগনে চাপিয়েছিল ইন্ডিয়ান পটাশ লিমিটেড।

প্রাপক কেন এত দিন কোনো খোঁজ করেননি?
প্রাপক রামচন্দ্র গুপ্তা বলেন, ‘ওটা কোম্পানির সার ছিল। আমার হাতে পৌঁছালে টাকা দিতাম। পৌঁছায়নি, তাই টাকাও দিইনি। আর খোঁজখবরও নিইনি।’

১৪ লাখ টাকা মূল্যের ওই সার যারা ওয়াগনে চাপিয়েছিল, সেই ইন্ডিয়ান পটাশ লিমিটেডও এত দিন কোনো খোঁজখবর নেয়নি রেল কর্তৃপক্ষের কাছে। কেন? এ জবাবটাও পাওয়া গেল। সংস্থার গোরখপুর শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট মার্কেটিং ম্যানেজার ডি কে সাক্সেনার বলেন, ‘ভেবেছিলাম, ওই পণ্য হাপিস হয়ে গিয়েছে। আমরা রেলের কাছে এর জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদনও করেছি।’

 

সূত্র : প্রথম আলো।