• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মুখোমুখি পাপন-মুশফিক: টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে ষড়যন্ত্রের আভাস

প্রকাশ:  ০৯ অক্টোবর ২০১৭, ২২:৫৫ | আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০১৭, ২৩:১২
উৎপল দাস
প্রিন্ট

‘সে কোথায় ফিল্ডিং করবে সেই সিদ্ধান্ত টিম ম্যানেজমেন্টের ছিল না। সিদ্ধান্তটি ছিল তার ব্যক্তিগত। কেউ চাপিয়ে দেয়নি। তার কোনো অস্বস্তি বা সমস্যা আছে বোধহয়। সেটা হতে পারে কোচের সাথে, হতে পারে টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে। দেশে আসার পর সমস্যার সমাধান হবে।’ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সংবাদ মাধ্যমকে এসব কথা বলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। 

‘সে যেসব মন্তব্য করছে সেটা দেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। টস নিয়ে কোনো অধিনায়ক সংবাদ মাধ্যমে এ ধরনের কথা বলতে পারে না। এটা দলের জন্য ভাল হচ্ছে না। বাংলাদেশের বডি ল্যাংগুয়েজ দেখে মনে হয়নি তারা জেতার জন্য মাঠে নেমেছে। এগুলো মুশফিকের ব্যক্তিগত ব্যাপার।’ মন্তব্য পাপনের। 

দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বলেছিলেন, ‘কোচরা চেয়েছেন আমি যেন বাইরে বাইরে ফিল্ডিং করি। কারণ, আমি নাকি ফিল্ডার হিসেবে ভাল না। আমি সামনে থাকলে নাকি রান হয়ে যায়। বা আমার হাতে ক্যাচ-ট্যাচ আসলে নাকি (ধরার) চান্স থাকে না। টিম ম্যানেজমেন্ট যেটা বলবে, সেটা তো আমাকে করতে হবে।’ এমন মন্তব্যের পর গুঞ্জন উঠেছিল অধিনায়কত্ব হারাচ্ছেন মুশফিক। কিন্তু একদিন আগে নিজ মুখেই মুশফিক বলে দিলেন। দলনেতার চেয়ার ছাড়বেন না, তবে নেতৃত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত বোর্ডের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন মুশফিক। ‘আমি কেন সরে যাব? এটা তো ব্যক্তিগত কোনো খেলা না, দলীয় খেলা। অবশ্যই অধিনায়ক হিসেবে সব ব্যর্থতায় দায় আমার দিকেই আসবে। আমি সেটা নিচ্ছিও। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া আমার জন্য অনেক সম্মানের। আমি গর্বিত। এটা হবে বোর্ডের সিদ্ধান্ত। কারণ, তারাই আমাকে এনেছে। আমাকে সরানো হবে কি না এই সিদ্ধান্তের ভার বোর্ডের ওপর।’ 

এদিকে, যা সত্য তাই বলেছি। এর জন্য যদি কারোর খারাপ লেগে থাকে আমার দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছু করার নেই। মানুষ মাত্রই ভুল হতে পারে। তো আমিও মানুষ, তাই আমার যদি ভুল হয়ে থাকে এর জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থী। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিমত প্রকাশ করেছেন মুশফিকুর রহিম। ব্লুমফন্টেই টেস্টের প্রথম দিন শেষে মুশফিক বলেছিলেন, ‘কোচরা চেয়েছেন আমি যেন বাইরে বাইরে ফিল্ডিং করি। কারণ, আমি নাকি ফিল্ডার হিসেবে ভাল না। আমি সামনে থাকলে নাকি রান হয়ে যায় বা আমার হাতে ক্যাচ-ট্যাচ আসলে নাকি (ধরার) চান্স থাকে না। টিম ম্যানেজমেন্ট যেটা বলবে, সেটা তো আমাকে করতে হবে।’ 

এমন মন্তব্যের পর গুঞ্জন উঠেছিল অধিনায়কত্ব হারাচ্ছেন মুশফিক। কিন্তু একদিন আগে নিজ মুখেই মুশফিক বলে দিলেন। দলনেতার চেয়ার ছাড়বেন না, তবে নেতৃত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত বোর্ডের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন মুশফিক। ‘আমি কেন সরে যাব? এটা তো ব্যক্তিগত কোনো খেলা না, দলীয় খেলা। অবশ্যই অধিনায়ক হিসেবে সব ব্যর্থতার দায় আমার দিকেই আসবে আর আমি সেটা নিচ্ছিও। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া আমার জন্য অনেক সম্মানের এর জন্য আমি গর্বিত। এটা হবে বোর্ডের সিদ্ধান্ত কারণ, তারাই আমাকে এনেছে। আমাকে সরানো হবে কি না এই সিদ্ধান্তের ভার বোর্ডের ওপর।’ উল্লেখ্য, প্রথম টেস্ট ৩৩৩ রানে হারের পর দ্বিতীয় টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ইনিংস এবং ২৫৪ রানে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ। 

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের এমন মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট মহলে নানা গুঞ্জন শুরু করেছে। অনেকে এটিকে টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে ষড়যন্ত্রের আভাসও মনে করছেন। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চান এ দেশের ক্রিকেট প্রেমীরা।

সর্বাধিক পঠিত