• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

ষোড়শ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া

মিজানুর রহমান চৌধুরী বর্ণাঢ্য নিঃস্বার্থ রাজনীতিক ছিলেন : নাছির উদ্দিন আহমেদ

মিজানুর রহমান চৌধুরীর বিকল্প তিনি নিজে : ওচমান গনি পাটোয়ারী

প্রকাশ:  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫:৫৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরী বর্ণাঢ্য ও নিঃস্বার্থ একজন আপাদমস্তক রাজনীতিক ছিলেন। গণতন্ত্রের প্রশ্নে তিনি কখনো আপোষ করেননি। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন। তিনি ছিলেন আমাদের জাতীয় নেতা এবং জাতীয় সম্পদ। তিনি একজন ব্যক্তিই নন, একটি প্রতিষ্ঠান, একটি ইনস্টিটিউট। যে প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। আমরা জানি, রাজনীতি হলো সমাজের সর্বোচ্চ সমাজসেবা। সেই সেবার কাজটি মিজানুর রহমান চৌধুরী করে গেছেন। চাঁদপুরবাসী তথা জাতির স্বার্থে তাঁর স্মৃতিকে আমাদেরকে ধরে রাখতে হবে।
২ ফেব্রুয়ারি বুধবার বাদ আসর চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার বাইতুল হাফিজ জামে মসজিদে মিজানুর রহমান চৌধুরীর ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন নাছির উদ্দিন আহমেদ।
তিনি আরো বলেন, যে সমাজে ভালো কাজের কদর নেই, সেই সমাজে ভালো কাজ হয় না। মিজানুর রহমান চৌধুরী অত্যন্ত নীরব-সজ্জন-সদালাপী একজন মানুষ ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন জাতীয় সংসদে চাঁদপুরের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। গরিব সাধারণ মানুষের জন্যে কাজ করে গেছেন। তাঁর স্মৃতিকে সংরক্ষণে একটি ফাউন্ডেশন করা যায় কি-না এ বিষয়ে আমাদের চিন্তা-ভাবনা রয়েছে।
তিনি মরহুম মিজানুর রহমান চৌধুরী ও তার স্ত্রী সাজেদা মিজান, বড় ছেলে দিপু চৌধুরী ও মেয়ের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মিজান চৌধুরীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
মিজানুর রহমান চৌধুরীর স্মৃতিচারণ করে চাঁদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটোয়ারী বলেন, মিজানুর রহমান চৌধুরীর বিকল্প তিনি নিজে। দেশ ও দলের যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে একজন কা-ারির ভূমিকায় আবির্ভূত হতেন তিনি। মানুষের কল্যাণ কীভাবে করতে হয় তা তিনি শিখিয়েছেন।
মিজান চৌধুরীকে একজন খানদানি রাজনীতিক অভিহিত করে ওচমান পাটোয়ারী বলেন, তাঁর বাড়ি ছিলো কর্মীদের অবাধ বিচরণক্ষেত্র। তিনি কর্মীদের খুব ভালোবাসতেন। তাঁর রাজনৈতিক দৃঢ়তা এখনো আমাদের অবাক করে। তাঁকে নিয়ে আমরা চাঁদপুরবাসী গর্বিত।
তিনি মরহুম মিজানুর রহমান চৌধুরীর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তাঁর সহধর্মিণী ও প্রয়াত ছেলে মেয়ের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
আরো বক্তব্য রাখেন মরহুম মিজানুর রহমান চৌধুরীর মেজো ছেলে ও চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান রাজু চৌধুরী, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও মরহুম মিজানুর রহমান চৌধুরীর ভাগিনা ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, চাঁদপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া প্রমুখ।
আমানুল্লাহ মিজান রাজু চৌধুরী জানান, তাঁর পিতার নামে পারিবারিকভাবে একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করেছেন। সেখানে যারা মিজান চৌধুরীকে ভালোবাসেন তারা সম্পৃক্ত হতে পারবেন।
আলোচনা শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মিজান চৌধুরী বাড়ির বাইতুল হাফিজ জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মোদাচ্ছের আলী।
দোয়ানুষ্ঠানে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল্লাহ কোম্পানি, মরহুম বাচ্চু মিয়াজীর ছেলে মোঃ জামিনুল হক বিপুল, সাবেক কাউন্সিলর মাহফুজ বেপারী, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জু মাঝি, জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, চাঁদপুর চেম্বারের সাবেক পরিচালক ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী, ব্যবসায়ী সেলিম মিজি, ফরিদ দিদার, মাহবুবুর রহমান মানিক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম বিপ্লব, হারুনুর রশিদ বেপারী, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শেখ শরীফ, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা হাসিবুল হাসান মুন্না, আবু পাটোয়ারীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী মরহুমের আত্মীয়-স্বজন এবং ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনীতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুম মিজানুর রহমান চৌধুরীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়।

 

সর্বাধিক পঠিত