• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

নতুন কারিকুলাম শিক্ষার্থীদের জন্য আনন্দময় হবে : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

প্রকাশ:  ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১:১৯ | আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১:২৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

নতুন কারিকুলামে যে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে, তা শিক্ষার্থীদের জন্য আনন্দময় হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেছেন, নতুন যে শিক্ষাক্রম চালু হচ্ছে সেটা হবে আনন্দময়। শিক্ষার্থীরা আনন্দের সঙ্গে এ শিক্ষাক্রমে শিখতে পারবে। তারা সমাজকে এবং শিক্ষকদের প্রশ্ন করার মাধ্যমে শিখবে। তবে শিক্ষার্থীদের শুধু প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হয়ে উঠলেই চলবে না, ভালো মানুষ হতে হবে।

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষক সমিতি আয়োজিত “ভাষা আন্দোলন: ইতিহাস বাস্তবতা” শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

২০২৩ সাল থেকে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরুর লক্ষ্যে ২০২২ সালে পাইলটিং করা হবে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের জন্য ২০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাইলটিং করার কথা থাকলেও শেষ সময়ে মাত্র ৬০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া পাইলটিংয়ের জন্য বই প্রস্তুত না করায় চার মাস পর পর লার্নিং ম্যাটেরিয়াল দিয়ে ১২ মাস পাইলটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যা শুরু হচ্ছে আগামীকাল ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে। ওইদিন মাধ্যমিক স্তরের ৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন কারিকুলাম পাইলটিং শুরু হবে। একই দিন মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যামিক ও উচ্চশিক্ষা স্তরের শিক্ষার্থী সশরীরে ক্লাসে অংশ নেবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের শিক্ষার মান বাড়াতে একাডেমিক মহাপরিকল্পনা নিতে হবে। তার সঙ্গে আসবে ভৌত অবকাঠামো মহাপরিকল্পনা। এর মাধ্যমে শিক্ষায়, বিজ্ঞানে এবং প্রযুক্তিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা আগের তিনটি বিপ্লব ধরতে পারিনি, এবার আমাদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে ধরতেই হবে। এ শিল্প বিপ্লব ধরতে আমাদের মায়ের ভাষা অর্থাৎ আমাদের মাতৃভাষা শেখাটা জরুরি।

ডা. দীপু মনি আরও বলেন, দেশে নতুন নতুন অনেক বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। তবে আমাদের সবাইকে শিক্ষার মানের দিকে জোর দিতে হবে। শিক্ষার মানের ওপর নজর দিতে পারলে আমরা শিক্ষায়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এগিয়ে যেতে পারবো।

আলোচনা সভায় জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, কোনো দিবস সামনে এলেও সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করি, পরে দ্রুতই তা ভুলে যাই। আমরা যেন সারাবছর এ বিষয়টি (শহীদ দিবস ও মাতৃভাষা দিবস) নিয়ে আলোচনা করি। শুনেছি এখন থেকে আদালতের রায় বাংলায় লেখা হবে। এটা আমাদের একটি ইতিবাচক অর্জন। এখন সবাই নিজের ভাষায় আদালত ঘোষিত রায় পড়তে ও বুঝতে পারবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এর বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, জবি ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম, জবি শিক্ষিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল কালাম লুৎফুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।