• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

কল্পিত মিথ্যে ও বানোয়াট অপপ্রচারের প্রতিবাদে

চাঁদপুর মডেল থানায় ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের জিডি

প্রকাশ:  ০২ মার্চ ২০২২, ১০:৫৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে কল্পিত মারামারি, মিথ্যে ও বানোয়াট এবং পরিবারকে হেয়প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে জনৈক নীরব খান বাদল নাটকীয়ভাবে সেলিম খান ও তার ছেলে চিত্রনায়ক শান্ত খানকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ ঘটনা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের নিজ স্বাক্ষরে চাঁদপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
গতকাল ১ মার্চ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি নং ৫১-২২ থেকে জানা যায়, ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম খান ও তার ছেলে চিত্রনায়ক শান্ত খান কল্পিত সাজানো ঘটনার দিন ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার কাকরাইলস্থ শাপলা মিডিয়া ও ভয়েস টিভি অফিসে দু’জনই কর্মরত ছিলেন। ওইদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলচ্চিত্র কাজের কারণে ৮০/৫, ভিআইপি রোড, কাকরাইল, ঢাকা অফিসে তাদের সরব উপস্থিতি ছিলো। যা সে অফিসের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ এবং পুলিশি তদন্তে প্রকাশ পাওয়া যাবে। তিনি তার জিডিতে উল্লেখ করেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটের মধ্যে তার নির্বাচনী এলাকায় নিরব খান বাদলকে তার ছেলে চিত্রনায়ক শান্ত খানসহ অন্যরা কিল-ঘুষি প্রদান ও তার উপর হামলা চালায় বলে সে দাবি করে। অথচ, ওইদিন ওই সময়ে ঢাকা কাকরাইল অফিসে চিত্রনায়ক শান্ত খান উপস্থিত ছিলেন। এ ধরনের মিথ্যে ও বানোয়াট এবং পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মারামারির ঘটনা সাজিয়ে নিরব খান বাদল কাদের উদ্দেশ্য হাসিলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে, তা আমাদের বোধগম্য নয়।
    মোঃ সেলিম খান তার জিডিতে আরো উল্লেখ করেন, মূলত আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের একজন সৈনিক। দীর্ঘদিন যাবৎ জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। শাপলা মিডিয়ার মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে ব্যবসা শুরু করার সুবাদে আমার মিডিয়া হাউজের ব্যানারে ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধুর কৈশোর ও শৈশব নিয়ে ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়াভাই’ এবং ‘আগস্ট ১৯৭৫’ নামক দু’টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করি। যা ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে এবং সিনেবাজ অ্যাপসের মাধমে বঙ্গবন্ধুর চেতনায় বিশ্বাসী মানুষজন উপভোগ করেছেন। এ দুটি চলচ্চিত্র মুক্তি পাওয়ার পর থেকে আমি (মোঃ সেলিম খান) ও আমার ছেলে চিত্রনায়ক শান্ত খানকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি, এমনকি আমার শাপলা মিডিয়া হাউজে হামলাও চালিয়েছে। এ বিষয়ে ইতোপূর্বে আমি চাঁদপুরসহ ঢাকায় বেশ ক’টি সাধারণ ডায়েরি নথিভুক্ত করেছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এবং স্বাধীনতার বিরোধী শক্তিরা আমি ও আমার পরিবারের ক্ষতিসাধনের জন্যে উঠেপড়ে লেগেছে। বিশেষভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে, জনৈক নীরব খান বাদল পূর্বপরিকল্পিতভাবে চাঁদপুরের ২৫০ শয্যা সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এসে আমার এবং আমার ছেলে চিত্রনায়ক শান্ত খানের নাম উল্লেখ করে তার উপর হামলা হয়েছে বলে চিৎকার করে দাবি জানায়। এ সময় নেপথ্যে থাকা ওই কুচক্রি মহলের লোকজনের ইন্ধনে বেশ ক’জন ফটো সাংবাদিক উপস্থিত হয়ে তার বক্তব্যের রেকর্ড ধারণ করে। যা পরদিন দু’-একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য এবং এলাকার মানুষজনের বক্তব্য নিয়ে সমাধানের জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি।

 

সর্বাধিক পঠিত