• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

পুলিশের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ

মতলব উত্তরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ মুখোমুখি

প্রকাশ:  ০২ মার্চ ২০২২, ১১:০১ | আপডেট : ০২ মার্চ ২০২২, ১১:২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 মতলব উত্তরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে একই দিনে ছেংগারচর বাজারে মিছিল সমাবেশ আহ্বান করে। ১ মার্চ মঙ্গলবার সকাল থেকে চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব অ্যাডঃ নূরুল আমিন রুহুল এমপির সমর্থকরা মিছিল করেন। অপরদিকে একইদিন বিকেল ৩টার সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রমের সমর্থকরাও পৃথক দুটি মিছিল বের করে। একটি মিছিল পৌরসভার ঠাকুরচর, আদুরভিটি ও পালালোকদি গ্রামের সমর্থকরা ঠাকুরচর চৌরাস্তা থেকে শুরু করে ছেংগারচর জেনারেল হাসপাতালের সামনে এলে পুলিশ তাদের গতি প্রতিরোধ করে।
এদিকে এমপির সমর্থকরা ছেংগারচর পৌর আওয়ামী ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় থেকে ‘রুহুল ভাই রুহুল ভাই’ বলে মিছিল বের করে থানার সামনে গেলে পুলিশ তাদের গতিরোধ  করে।
অপরদিকে বারোআনী, জোড়খালী, কেশাইরকান্দি, নিজ ছেংগারচর, বালুচর গ্রাম থেকে মায়া গ্রুপের সমর্থকরা মায়া ভাই, মায়া ভাই বলে আরেকটি মিছিল করে ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজের সামনে এলে পুলিশ তাদেরও গতিরোধ করে।
এদিকে ছেংগারচর জেনারেল হাসপাতালের সামনে মায়া গ্রুপের সমর্থকরা সমাবেশ করে। এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আল মাহমুদ টিটু, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির খান ও উপজেলা শ্রমিকলীগ নেতা শামীম প্রধান।
ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজের সামনে মায়া গ্রুপের পৃথক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মনির হোসেন বেপারী, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ঢালী, কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, সাবেক কাউন্সিলর খোকন প্রধান ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রিপন।
এ সময় তারা বলেন, আমার মায়ার কর্মী। আমরা বাজারে মিছিল ও সমাবেশ করার সময় এমপি রুহুলের লোকজন আমাদের মিছিল ও সমাবেশ প- করতে অপচেষ্টা করে।
এদিকে থানার সামনে এমপি রুহুল গ্রুপের সমর্থকরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাইয়ুম চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রতন ফরাজি, উপজেলা যুবলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডঃ মহসিন মিয়া মানিক,  প্রচার সম্পাদক রেফায়েত উল্লাহ দর্জি,  পৌর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল ফরাজী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক জামান সরকার, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহবুব আলম বাবু, পৌর যুবলীগ নেতা ওমর খান, নাজমুল খান, মুছা বেপারী প্রমুখ।
তারা বলেন, অ্যাডঃ রুহুল আমিন এমপি হওয়ার পর থেকে মতলব উত্তরে মানুষ শান্তি প্রিয়ভাবে বসবাস করছে। কিন্তু ইদানিং কিছু সন্ত্রাসী এলাকায় ঢুকে শান্ত মতলবকে অশান্ত করে তুলছে। তাই আমরা শান্তির লক্ষ্যে আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবো।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল বলেন, রাজনৈতিক একই দলের দুই পক্ষের পৃথক কর্মসূচিকে ঘিরে সব ধরনের বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা ছিল। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) ইয়াছির আরাফাত বলেন, পুলিশ খুব তৎপর ছিল। পুলিশ সঠিক দায়িত্ব পালন করে কৌশল অবলম্বন করায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে মতলব উত্তরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থানকালে পুলিশ যে ভূমিকা নিয়েছে তাতে উপজেলাবাসী পুলিশের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছে। পুলিশের কৌশলী ভূমিকার কারণে কোনো সংঘাত বা বিশৃঙ্খলা হয়নি।

সর্বাধিক পঠিত