• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ফরিদগঞ্জে জামিনে এসেই বাদীর ওপর হামলা ॥ হুমকির মুখে বোরো আবাদ

প্রকাশ:  ১৬ মার্চ ২০২২, ১১:১২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিনে এসেই মামলার বাদীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ হলেও বড় ধরনের ক্ষতি সাধনের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবারটি। ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫নং গুপ্টি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
থানায় অভিযোগ ও স্থানীয়দের থেকে প্রাপ্ত তথ্যসূত্রে জানা যায়, ৫নং গুপ্টি ইউনিয়নে গুপ্টি গ্রামের সুজন ভাট ও মিজানুর রহমান গং প্রতিবেশী। দীর্ঘদিন যাবৎ তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তাদের দুপরিবারের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি হয়ে আসছে। তারই অংশ হিসেবে গত ৬ ফেব্রুয়ারি পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা মিজানুর রহমান গং সুজন ভাটকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এই ঘটনায় হামলার শিকার সুজন ভাট বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিলে থানা পুলিশ অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে গ্রহণ করে অভিযুক্ত মিজানকে আদালতে প্রেরণ করে। আদালত থেকে মিজানুর রহমান গত ক’দিন পূর্বে জামিনে এসে সুজন ভাট গংকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে।
চলতি মাসের ৬ মার্চ রোববার কৃষি জমিতে সেচের পানি দেয়াকে কেন্দ্র করে আবারো মিজানুর রহমান গং সুজন ভাটের ওপর হামলা করে। ভুক্তভোগী সুজন ভাট বিচার প্রার্থনা করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। এদিকে তাদের হামলার ঘটনায় ওই কৃষি জমিতে পানি দেয়া বন্ধ রয়েছে। সময় মত কৃষি জমিতে পানি না দিলে ফসল উৎপাদনে বড় ধরনের হুমকি হতে পারে বলে কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
বিষয়টি নিয়ে সুজন ভাটের সাথে কথা হলে তিনি জানান, মিজান গং আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করেছে। আমি অসহায় মানুষ, আইনের মাধ্যমে বিচার চেয়েছি। কিন্তু মিজান আদালত থেকে জামিনে এসেই আমাকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। তারই অংশ হিসেবে পুনরায় আমার ওপর হামলা করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বেশ ক’জন জানান, মিজানুর রহমানরা লোকবল বেশি হওয়ায় যখন যার সাথে ইচ্ছা তার সাথেই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে।
অভিযুক্ত মিজানুর রহমান জানান, সুজন ভাটদের সাথে আমাদের কোনো সমস্যা নেই, তারা ষড়যন্ত্র করে বারবার আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহআলম জানান, মিজানুর রহমান ও সুজন ভাটদের সংঘাত দীর্ঘদিনের। আমরা চাই প্রশাসন যেনো নিরপেক্ষ তদন্ত করে অপরাধীর বিচার করে।
স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, তাদের দু’পরিবারের বিষয়টি অবগত রয়েছি। যেহেতু এলাকার মানুষ, সমাধানের চেষ্টা করবো। বিভিন্ন সময় তাদের ভাইদের সাথে অন্যদের সমস্যা নিয়ে সালিস বৈঠকও করছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিজান গং লোকবল, বিশেষ করে ভাইদের সংখ্যা বেশি থাকায় তাদের ক্ষমতা বেশি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাহান পাটওয়ারী বলেন, বিষয়টি আমি ইতোমধ্যে অবগত হয়েছি, যদি এলাকাতে মীমংসাযোগ্য হয় সমাধানের চেষ্টা করবো।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বাধিক পঠিত