• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

আউলিয়াবাগ দাখিল মাদ্রাসার

বেহাল দশা ভোগান্তিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ:  ২১ মার্চ ২০২২, ১১:০৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভায় আউলিয়াবাগ দাখিল মাদ্রাসা নানা সমস্যায় জর্জরিত। জরাজীর্ণ টিনশেড ঘর, শ্রেণিকক্ষের সমস্যা, আসবাবপত্রের অভাব, শিক্ষকের বেতন বকেয়া ও শিক্ষক সংকটের ফলে মাদ্রাসায় পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে রয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ২০০৭ সালে ছেংগারচর পৌরসভার ঠাকুরচরে আউলিয়াবাগ দাখিল মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। আধুনিক বিশে^র সাথে তাল মিলাতে গ্রামীণ এ জনপদে দ্বীনি শিক্ষার আলো ছড়ানোর প্রয়াসে সাবেক সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও শিক্ষানুরাগী ইব্রাহীম খলিল মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন।
সরেজমিনে মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায়, জরাজীর্ণ টিনশেড ঘরে ১ম শ্রেণি থেকে দাখিল ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী পাঠ গ্রহণ করছে। শ্রেণি কক্ষে নেই দরজা- জানালা, পর্যাপ্ত চেয়ার-টেবিল ও বৈদ্যুতিক পাখা। শিক্ষকদের বেতন বকেয়া কয়েক মাসের।
২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে প্রায় ১৫ বছর গত হলেও এখনও হয়নি এমপিওভুক্ত। সরকারি উন্নয়নের তেমন কোনো ছোঁয়া লাগেনি এ মাদ্রাসায়। লেখাপড়া ও ফলাফলের দিক থেকে অনেক সাফল্য থাকলেও নানা সমস্যাকে সঙ্গী করে এগিয়ে চলছে দ্বীনি শিক্ষার এ প্রতিষ্ঠানটি। নানা সমস্যায় জর্জরিত থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো সুদৃষ্টি নেই মাদ্রাসাটির দিকে।
মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোঃ মোশারফ হোসেন জানান, শ্রেণিকক্ষের অভাবে পাঠদান করানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। ভবনসহ মাদ্রাসার বিভিন্ন উন্নয়নের জন্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার আবেদন করেছি। একটি ভবন এসেছে। কিন্তু এখনও কাজ শুরু হয়নি। বেতন অপ্রতুল, তাও আবার অনেক মাসের বাকি। এমপিওভুক্ত হবে এ আশায় বসে থেকে সার্টিফিকেটের বয়সও চলে গেছে।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম খলিল জানান, ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এ মাদ্রাসায় প্রয়োজনের তুলনায় সরকারি বরাদ্দ তেমন পাওয়া যায়নি। যা পেয়েছি তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই কম। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির সুদৃষ্টি কামনা করছি মাদ্রাসাটির উন্নয়নের জন্য।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম খান জানান, মাদ্রাসার পাকা ভবনের জন্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাডঃ নূরুল আমিন রুহুল এমপির মাধ্যমে একটি ভবন বরাদ্দ এসেছে। পর্যায়ক্রমে সকল সমস্যার সমাধান হবে।

সর্বাধিক পঠিত