• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

রমজান মুমিনে কামিলে পরিণত হওয়ার মাস

প্রকাশ:  ১৭ এপ্রিল ২০২২, ১১:১৫ | আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২২, ১১:১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কালামে মাজীদে ঈমানদারদের সম্বোধন করে অনেক নসিহত করেছেন। ইসলামের নানা হুকুম-আহ্কাম ঈমানদারদের জন্যই বিবৃত হয়েছে। বুঝা গেলো যারা ঈমানদার তথা মুুমিন তাদের জন্যই হচ্ছে ইবাদত, আমল ও শরয়ী বিধান। ঈমানদারদের ঈমান মজবুত অর্থাৎ মুমিনে কামিল তথা পরিপূর্ণ ঈমানদার হওয়ার জন্যে মহান আল্লাহ নানা পাথেয় দিয়ে দিয়েছেন। তন্মধ্যে মাহে রমজান অন্যতম। এই রমজানের একটি মাসে যদি একজন ঈমানদার বান্দা সিয়াম সাধনার অন্তর্নিহিত দিকগুলো অর্জন করতে পারে তাহলে সে বান্দাহ মুমিনে কামিলে পরিণত হবে। কেননা এর জন্যে রমজানই হচ্ছে উপযুক্ত মাস।
সহীহ্ বুখারী ও মুসলিম শরীফে হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (দঃ) ইরশাদ করেন, যখন রমজান আসে তখন আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। মতান্তরে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। আর জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানগুলোকে জিঞ্জিরাবদ্ধ করা হয়। অন্য এক রেওয়ায়েতে এসেছে, রহমতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। এই হাদিসে হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হতে তিনটি জিনিসের দরজা খোলার কথা বলা হয়েছে। তা হচ্ছে আসমান, জান্নাত ও রহমতের দরজা। হাদিসের ব্যাখ্যাকারকগণ বলেছেন, আকাশের দরজাসমূহ খোলার অর্থ রহমত বর্ষণ করা, জান্নাতের দরজাসমূহ খোলার অর্থ ভালো কাজ করার তৌফিক দান করা, যার মাধ্যমে জান্নাত লাভ করা যায় আর রহমতের দরজাসমূহ খোলার অর্থ রহমত বর্ষণ করা। জাহান্নামের দরজা বন্ধ করার অর্থ রিপুর তাড়না হতে মুক্তি দেয়া, যার কারণে জাহান্নামে যেতে হয়। আর শয়তানকে শিকলাবদ্ধ করার অর্থ হচ্ছে শয়তানি প্ররোচনা থেকে রোজাদারকে রক্ষা করা। রোজার এসব মাহাত্ম্যের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে রিপুর তাড়না থেকে মানুষকে বাঁচিয়ে রাখা। অর্থাৎ মানুষের মধ্যে যে ষড়রিপু তথা কুপ্রবৃত্তি রয়েছে এগুলো দমন করতে পারলেই মানুষ সকল অন্যায়-অপরাধ থেকে বেঁচে থাকতে পারে। আর তখনই মানুষ আত্মশুদ্ধি অর্জন করে মুমিনে কামিলে পরিণত হয়।

সর্বাধিক পঠিত