• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা সহায়তার ৫৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার চেক বিতরণ

প্রকাশ:  ০৫ জুলাই ২০২২, ১০:২২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন সমাজসেবা অধিদফতরের ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্তদের আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় চাঁদপুরে ১১৫ জনকে জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা হারে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে চিকিৎসা সহায়তা বাবদ সর্বমোট ৫৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে ৪ জুলাই ২০২২ সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন এবং জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, চাঁদপুর যৌথভাবে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে চিকিৎসা সহায়তার চেক তুলে দেন। এ সময় জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মানুষের সুস্থতা যে সবচেয়ে বড় নেয়ামত, তা অসুস্থ না হলে বুঝা যায় না। তিনি রোগীদের সঠিকভাবে জেনে সঠিক জায়গায় চিকিৎসা নেয়ার জন্যে বলেন।
তিনি রোগীদের ব্যয়বহুল বেসরকারি হাসপাতালে না গিয়ে সরকারি বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন। তিনি করোনা প্রতিরোধে সকলকে মাস্ক পরার আহ্বান জানান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্যে সকলে দোয়া করুন, যেন তাঁর নেতৃত্বে এদেশ এগিয়ে যায়। জেলা প্রশাসক সকল রোগীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রজত শুভ্র সরকারের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেন, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাখাওয়াত হোসেন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মোঃ মেসকাতুল ইসলাম, এআরএম জাহিদ হাসান, সরকারি শিশু পরিবার, চাঁদপুর- এর তত্ত্বাবধায়ক মোঃ মনিরুল ইসলাম প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
পরে জেলা প্রশাসক ২০ জন রোগী এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার হাতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন। নির্বাচিতগণের মধ্যে ৮২ জন ক্যান্সার, ১৩ জন কিডনী, ০৫ জন লিভার সিরোসিস, ১০ জন জন্মগত হৃদরোগ ও ০৫ জন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগী। এদের মধ্যে চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৪ জন, কচুয়ার ১৯ জন, শাহরাস্তির ২১ জন, হাজীগঞ্জের ২৫ জন, মতলব দক্ষিণের ১৬ জন, মতলব উত্তরের ৬ জন, হাইমচরের ২ জন এবং ফরিদগঞ্জের ১২ জন রয়েছে।