• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

রূপসা উত্তর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

ইউপি সদস্যদের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশ:  ১৮ জুলাই ২০২২, ১৩:৩২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৫নং রূপসা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কাউছার আলম ইসলাম কামরুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একই পরিষদের ৩ জন ইউপি সদস্য। ১৭ জুলাই রোববার সকালে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ইউপি সদস্যদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রূপসা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন লিটন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৮ জুলাই শুক্রবার পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে অসহায়দের মাঝে ভিজিএফ চাল ১০ কেজি হারে বিতরণ করা হয়। চেয়ারম্যান ওই কার্ডে নিজের ছবি ব্যবহার করে আমার নির্বাচিত ওয়ার্ড ব্যতীত প্রতিটি ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য-সদস্যা এবং তার নিজের ব্যক্তিগত লোকদের মাধ্যমে ওই কার্ড বিতরণ করেন। বিতরণের দিন ২নং ওয়ার্ড ও আমার ৮নং ওয়ার্ডের কতিপয় লোকের কাছে ভুয়া কার্ড শনাক্ত করে ওই কার্ডধারী লোকদের পরিকল্পিত বক্তব্য মোবাইলে রেকর্ড করেন চেয়ারম্যান নিজেই। পরে ২নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ হাসান আলী ও আমার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
কিন্তু বাস্তবতা হলো ভিজিএফ-এর চালসহ গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের পূর্বে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যদের নিয়ে মিটিং করার নিয়ম থাকলেও তিনি তা করেননি। ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে বিতরণের নিয়ম থাকলেও ট্যাগ অফিসারের প্রদেয় সময়কে উপেক্ষা করে ৭ তারিখের পরিবর্তে ৮ তারিখে চাল বিতরণ করেন এবং তাৎক্ষণিক কোনো মাস্টার রোলও করেননি তিনি।
তিনি বলেন, ইতিপূর্বে চেয়ারম্যানের সাথে বিরোধকে কেন্দ্র করে আমাদের উভয়ের একটি মামলা রয়েছে। সেজন্যে তিনি আমার নির্বাচিত এলাকার মানুষদের সরকারের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছেন। প্রকৃত অসহায়-দুঃস্থ মানুষের কথা বিবেচনা না করে চেয়ারম্যানের পছন্দের মানুষদের তিনি ওইসব সুবিধার আওতায় আনেন। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানতে পারি চেয়ারম্যান কর্তৃক শনাক্ত করা ওই ভুয়া কার্ড আমার ওয়ার্ড ছাড়াও অন্য সকল ওয়ার্ডে পাওয়া যায়। অর্থাৎ পরিকল্পিতভাবে তারা আমাদেরকে হেয় করার জন্যে এই ঘৃণ্যতম কাজটি করেছেন। এছাড়া ওই ইউপি চেয়ারম্যান নিজের খেয়াল খুশিমত একতরফাভাবে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি মাসে সদস্যদের নিয়ে মাসিক মিটিং করার বিধান থাকলেও নিয়মিত মাসিক মিটিং করেন না তিনি। যে কোনো সরকারি উন্নয়নমূলক প্রকল্প আসলে তিনি আমাদের সাথে কোনোরূপ সমন্বয় বা মিটিং ছাড়া নিজের খেয়াল খুশিমতো বহিরাগত লোক দিয়ে নামমাত্র প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন। এছাড়া জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু সনদ, ওয়ারিশ সনদ, প্রত্যয়নপত্রসহ বিভিন্ন সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তিনি। চেয়ারম্যানের এ সকল অনৈতিক বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে তার বাহিনী কর্তৃক আমরা অপমানিত ও লাঞ্ছিত হই। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি কর্মসূচি কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা), ৪০ দিনের প্রকল্পে কোন ওয়ার্ডেই কাজ শুরু হয়নি। কিন্তু নামে বেনামে সিমকার্ড ব্যবহার করে উক্ত কর্মসূচির টাকা তিনি আত্মসাৎ করেন।
ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামানের সভাপ্রধানে ও সাধারণ সম্পাদক আঃ ছোবহান লিটনের পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম, ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাসান আলী, আওয়ামী লীগ নেতা আমিন পাটওয়ারী, স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন লিটন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের লিখিত অভিযোগ করেন।

 

সর্বাধিক পঠিত