• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬

চাঁদপুর জেলায় পুরুষের সংখ্যা ১২ লাখ ২৮ হাজার ৭শ’ ৭৪ জন, নারী ১৪ লাখ ৫ হাজার ৬শ’ ৮২ জন

প্রকাশ:  ২৮ জুলাই ২০২২, ১৪:২২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন এবং নারী ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন।
    ২৭ জুলাই বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম শুমারিতে দেশের জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১৫ লাখ। এরপর ১৯৮১ সালে জনশুমারি অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় মোট জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫ জনে। ১৯৯১ সালে দেশে মোট জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ কোটি ৬৩ লাখে।
    ২০০১ সালে চতুর্থ আদমশুমারি ও গৃহগণনা করা হয়, সে সময় জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১২ কোটি ২৪ লাখ। ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জনশুমারিতে দেখা যায়, দেশের জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪ কোটি ৪০ লাখ। ষষ্ঠ ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এ বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন।
    প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দেশে মোট তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন। বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ, এক দশক আগে যা ছিল ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। দেশে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যা ঘনত্বের হার ১ হাজার ১১৯ জন, এক দশক আগে যা ছিল ৯৭৬ জন। এছাড়া ৯৮ জন পুরুষের বিপরীতে নারীর সংখ্যা ১০০ জন। ১০ থেকে তার বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীর মধ্যে ২৮ শতাংশ অবিবাহিত এবং বিবাহিত ৬৫ শতাংশ। মোট জনংখ্যার ৯১ দশমিক ০৪ শতাংশ মুসলিম, হিন্দু ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এছাড়া প্রতিবন্ধিতার হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
    দেশে     মোবাইল ব্যবহারকারীর হার ৫৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৩০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। দেশে মোট খানার সংখ্যা ৪ কোটি ১০ লাখ ১০ হাজার ৫১টি। গড়ে খানার আকার ৪ জন, এক দশক আগে যা ছিল সাড়ে ৪ জন।
    দেশের মোট জনসংখ্যার
১১ কোটি ৩০ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৭ জন গ্রামের বাসিন্দা। আর শহরের বাসিন্দা পাঁচ কোটি ২০ লাখ নয় হাজার ৭২ জন। দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৬৬। পুরুষ জনগোষ্ঠীর সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ, নারী জনগোষ্ঠীর এ হার ৭২ দশমিক ৮২।
    সারাদেশে গত ১৫ জুন একযোগে শুরু হয় জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম। গত ২১ জুন জনশুমারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলায় বন্যা শুরু হওয়ায় এসব জেলায় শুমারি কার্যক্রম ২৮ জুন পর্যন্ত চলে।
    উল্লেখ্য, চাঁদপুর জেলায় পুরুষের সংখ্যা ১২ লাখ ২৮ হাজার ৭শ’ ৭৪ জন, নারী ১৪ লাখ ৫ হাজার ৬শ’ ৮২ জন। অর্থাৎ পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা ১ লাখ ৭৬ হাজার ৯শ’ ৮ জন বেশি।

সর্বাধিক পঠিত