• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

মতলব উত্তরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন : সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশ:  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪:০৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা নদীতে ড্রেজিং মেশিন বসিয়ে চলছে বালু উত্তোলন। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে মেঘনা নদীবেষ্টিত বাহাদুরপুর গ্রামসহ অনেক গ্রাম পড়েছে হুমকির মুখে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল এমরান খান বালু উত্তোলনের সংবাদে মেঘনা নদীতে অভিযান চালান এবং বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে দুই ড্রেজার মালিক থেকে ৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। এ সময় মোহনপুর নৌ-পুলিশ স্টেশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তবে অভিযানের সময় অন্যরা পালিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
মেঘনা নদীর মোহনপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর এলাকার পাশে বালু মহাল থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে এলাকায় সিন্ডিকেট তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে মেঘনা নদী থেকে প্রতিদিন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।
মোহনপুর ইউপি সদস্য আলমগীর কবিরাজ বলেন, অনেকেই মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করছেন। প্রভাবশালী এক ব্যক্তির ছত্রছায়ায় এ বালু উত্তোলন হয়ে আসছে। বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে বাহাদুরপুর গ্রামটি বিলীন হয়ে যাবে।
ওই প্রভাবশালী নেতার নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করে তিনি জানান, বাহাদুরপুর গ্রাম ঘেঁষে দীর্ঘদির বালু উত্তোলন করায় গ্রামবাসী একাধিকবার প্রতিবাদ করে। কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবারো বালু উত্তোলন শুরু হয়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল এমরান খান বলেন, মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনকারীদের বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার মোহনপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর এলাকায় অবৈধভাবে ড্রেজারের মাধ্যমে মাটি উত্তোলন করায় ঘটনাস্থলে গিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর ৪(গ) ধারা লঙ্ঘনের অপরাধে একই আইনের ১৫(১) ধারায় ৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক মোবাইল কোর্ট নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

 

সর্বাধিক পঠিত