• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

প্রবাসীর স্ত্রী স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ নিয়ে উধাওয়ের অভিযোগ

প্রকাশ:  ১৫ মার্চ ২০২৩, ১৩:২৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ফরিদগঞ্জে পরকিয়ার জেরে দুই সন্তানের জননী এক প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১৫ বছর সংসার করার পরও ৯ ভরি স্বর্ণ ও ২৩ লাখ টাকা নিয়ে স্বামীর সংসার ছেড়ে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮নং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইছাপুরা বেপারী বাড়ির মৃত শামসুল হক বেপারী ও জরিনা খাতুনের ছোট ছেলে মোঃ মিজান (৫০) তার স্ত্রীর বিরূদ্ধে অভিযোগটি করেন। ২০০৫ সালে একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের গাজীপুরের মৃত আতিকুল্লা তফাদারের মেয়ে শামসুন্নাহার রেখা (৩৫)-এর সাথে বিয়ে হয় প্রবাসী মোঃ মিজানের। টানা ১৫ বছর সংসার করার পর গত ২০১৯ সালে একই ইউনিয়নের সাবেক এক মেম্বারের সাথে পরকিয়ার জেরে প্রবাস জীবনের ২৮ বছরের উপার্জিত নগদ অর্থ ও গহনা নিয়ে পালিয়ে বাপের বাড়ি চলে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন প্রবাসী মোঃ মিজান। অভিযুক্ত শামসুন্নাহারের বড় সন্তান মেহেদী হাসান এবার গাজীপুর মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র, ছোট মেয়ে মাইসা (১১) গাজীপুরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী।
সৌদি প্রবাসী মোঃ মিজানের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিয়ের পর ১৪-১৫ বছর মিজান ও শামসুন্নাহার রেখার সংসার ভালোই চলছিলো। ২০১৯ সালে এসে এক মেম্বারের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েন শামসুননাহার। ঘটনাটি শ^শুর বাড়ির লোকদের দৃষ্টিগোচর হলে স্বামীর দেয়া গহনা ও নগদ অর্থ নিয়ে অন্যত্র চলে যান অভিযুক্ত শামসুন্নাহার। পরে মিজান প্রবাস থেকে যেন বাড়িতে না আসতে পারে সেজন্যে মিজানের বিরুদ্ধে মামলা করে নানা রকম হুমকি দেয়ার অভিযোগ তুলেছে মিজানের পরিবার।
প্রবাসীর স্ত্রী একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের গাজীপুরের মৃত আতিকুল্লা তফাদারের মেয়ে শামসুন্নাহার রেখা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ২০০৫ সালে আমার ১৪ বছর বয়সে বিয়ে হওয়ার পর আমার স্বামী সে সময়ে একেবারে বিদেশ থেকে চলে আসার কারণে পুনরায় বিদেশ যাওয়ার জন্যে আমার বাবা থেকে দেড় লাখ টাকা নেয়। পরে আমি ওই সংসারে থাকাকালীন বাড়ির বিল্ডিং নির্মাণের জন্য পুনরায় আরও দুই লাখ টাকা আমার বাবার বাড়ি থেকে নিয়েছেন আমার স্বামী মিজান এবং বিভিন্ন সময়ে বিল্ডিংয়ের অন্যান্য কাজের সুবাদে অনেক টাকা ঋণে পড়তে হয়েছে আমাকে। আমার বাড়ি থেকে যে টাকাগুলো দিয়েছে পরবর্তীতে আমার বাবার দেনা পরিশোধ করতে হয়েছে। আমার বাবার বাড়ি থেকে ২০১৯ সালে সবশেষ ৫ লাখ টাকা কিস্তিতে তুলে না দেয়ায় আমাকে নির্মমভাবে মারধর করে আমার সন্তানদেরসহ আমাকে বাপের বাড়িতে দিয়ে যায়। এরপর গত পাঁচ বছর দুই সন্তানকে নিয়ে শত কষ্টে জীবনযাপন করছি। এর মধ্যে ছেলেমেয়েদের খোঁজ খবর নেন না আমার স্বামী। যেহেতু আমার স্বামী জুয়া খেলে নিজের উপার্জনের সব টাকা হারিয়েছেন, আমার উপর প্রতিনিয়ত অত্যাচার করতেন, আমার ছেলে সন্তানের দিকেও তাকান না, তাই আমার করা মামলা কোটে চলমান আছে। মামলায় সত্যের পক্ষে যে রায় আসবে আমি তাই মেনে নিবো।  
পরকীয়ার অভিযোগের বিষয়ে একই ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার অভিযুক্ত উজ্জ্বল মেম্বারের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, পূর্বেও ১০১৯ সালে আমার বিরূদ্ধে এমন মিথ্যাচার করা হয়েছিলো। সে সময় বিষয়টি নিয়ে ক’জন স্থানীয় মেম্বার বসলে সেখানে মিজান তার ভুল স্বীকার করে আমার বিরুদ্ধে আর এমন মিথ্যাচার করবে না এই মর্মে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেছেন। তিনি অহেতুক কারণে একই অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে পুনরায় তুলছেন।