আজ বিশ্ব মাতৃত্ব দিবস
![](/assets/news_photos/2023/05/28/image-32714-1685244717.jpg)
![](https://www.chandpurpost.com/templates/web-v1/images/icon_print_new.png?v=1.1)
গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়ের সেবায় নরমাল ডেলিভারিতে মানছুরার কৃতিত্ব
মির্জা জাকির ॥ আজ নিরাপদ বিশ্ব মাতৃত্ব দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। প্রতি বছর দিবসটিকে সামনে রেখে নিরাপদ সন্তান প্রসব ও গর্ভবতী মায়ের চিকিৎসায় ভূমিকা রাখেন বিভিন্ন পর্যায়ের অনেকে। সেবাধর্মী এ মহৎ কাজটি করে অনেকে পুরস্কৃত ও প্রশংসিত হয়েছেন। তেমনই চাঁদপুরে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গর্ভবতী কিংবা প্রসূতি মাকে চিকিৎসাসহ সঠিক পরামর্শের মাধ্যমে নিরাপদ সন্তান প্রসব করানোর জন্যে বিভিন্ন সময় উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে পুরস্কৃত হয়েছেন মানছুরা আক্তার। তিনি চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার রহিমানগর বাজারে অবস্থিত গোহট দক্ষিণ মডেল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শিকা। এ কেন্দ্রে প্রায় এক বছর ধরে এসব মাকে নিয়ে কাজ করছেন। এর আগে চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে টানা দশ বছর সুনাম ও দক্ষতার সাথে কাজ করেছেন। গর্ভবতী মা ও তার ডেলিভারিসহ নিরাপদ নবজাতকের আগমন এবং তার স্বাস্থ্য সেবার জন্য বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে এ পর্যন্ত তিনি উপজেলা পর্যায়ে ৪ বার ও জেলা পর্যায়ে ১ বার শ্রেষ্ঠ পরিদর্শিকার স্বীকৃতি ও পুরস্কার অর্জন করেছেন।
মৈশাদী পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে জানা যায়, তিনি বছরে প্রায় সাড়ে পাঁচশ’ মায়ের নরমাল ডেলিভারির কাজ ও পরবর্তী সেবা দিয়েছেন। এছাড়া বর্তমানে কচুয়ার ওই কেন্দ্রে মাসে গড়ে ৫৫টি নরমাল ডেলিভারির কাজ করছেন। কচুয়ার এই পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে শনিবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, এই কেন্দ্রে উপস্থিত গর্ভবতী ও সন্তান এবং প্রসব পরবর্তী মায়ের সংখ্যা ১৮ জন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা ও সেবা নিয়ে প্রফুল্ল মনে বাড়ি ফিরছেন। এ কেন্দ্রে গড়ে মাসে সাড়ে তিনশ’ মা ও নবজাতক সন্তান চিকিৎসা ও পরামর্শ নিতে আসেন বলে জানা যায়।
মানছুরা আক্তার জানান, দীর্ঘ এগারো বছরের অভিজ্ঞতায় নিরাপদ সন্তান প্রসব এবং পরবর্তীতে মা ও নবজাতকের কেউ আজ পর্যন্ত মারা যায়নি। তিনি বলেন, অনেক অভিভাবক ধৈর্যহীন হয়ে তার রোগীকে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্যে আবদার করেন। তখন তাকে মোটিভেশন করে নরমাল ডেলিভারির ব্যবস্থা করি। এছাড়া ‘মা সেভ নবজাতক সেভ’- এ মন্ত্রে বিশ্বাসী হয়ে কাজ করেন বলে জানান। ডেলিভারির আগে ও তার পরে সেই মা ও নবজাতকের সুস্থতাসহ নানা বিষয়েও পরামর্শ দিয়ে থাকেন বলেই এ পর্যন্ত সব মা ও নবজাতক এমনকি কিশোরীরাও ভালো আছেন।
মানছুরা আক্তার জানান, জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপ-পরিচালক ডাঃ মোঃ ইলিয়াছের অনুপ্রেরণা ও দিকনির্দেশনায় তিনি মা ও নবজাতকসহ কিশোরীদের নিয়ে কাজ করতে এগিয়ে যেতে পেরেছেন। এদিকে এই পরিদর্শিকাকে নিয়ে আরো জানান মৈশাদী এলাকার শিক্ষক বিএম জাকির হোসেন। তিনি বলেন, মাঝে মাঝে হঠাৎ গভীর রাতে প্রসব বেদনা কিংবা খারাপ পরিস্থিতি নিয়ে ডেলিভারির জন্য কোনো গর্ভবতী মা আসেন। তখন এই পরিদর্শিকাকে অধৈর্য কিংবা বিরক্ত না হয়ে সুন্দরভাবে ডেলিভারির কাজ করতে দেখেছি।