• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা

ছোট নোট নিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে ব্যবসায়ীদের হয়রানি

প্রকাশ:  ৩০ মে ২০২৩, ০৯:২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর শহরের পূবালী ব্যাংক লিঃ নতুনবাজার শাখায় ১শ’ টাকার নোট দেয়ায় বিদ্যুৎ বিল জমা না নিয়ে গ্রাহককে ফেরত দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার ব্যাংক আওয়ারে পুরাণবাজারের একজন সিনিয়র ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী তাদের প্রতিষ্ঠান সিএইচ অয়েল মিল (সরিষার তেল মিল)-এর ৫০ হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল দিতে ওই শাখা ব্যাংকে যান। এ সময় তিনি ক্যাশ কাউন্টারে ১০০ টাকার ৫টি ব্যান্ডিল দিলে ক্যাশিয়ার তা গ্রহণ করেননি।
ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সরকারি রাজস্ব বিদ্যুৎ বিল ব্যাংক জমা নিতে বাধ্য। কিন্তু এটা কোন্ নিয়ম? ১শ’ টাকার নোট দেয়ায়  আমার কাছ থেকে বিলটি নেয়া হলো না। এতে হয়রানির শিকার হয়েছি।
তিনি বলেন, কোন্ কোন্ টাকার নোট তারা নেয় ব্যাংক থেকে আমাদের জানিয়ে দিলে বা নোটিস টানিয়ে রাখলে গ্রাহক এভাবে হয়রানি হতো না।
এ ব্যাপারে ওই ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ নাজিমউদ্দীন খোন্দকার বলেন, প্রায় কোটি টাকার মত খুচরা টাকা জমা পড়ে আছে। সোনালী ব্যাংক এই টাকা নিচ্ছে না। আমরা টাকা জমা নেই, নোটের একটা লিমিটেশন রয়েছে।
পূবালী ব্যাংক চাঁদপুর প্রধান শাখার ব্যবস্থাপক বিউটি দাস বলেন, টাকা জমা নিবে না কেন? টাকা জমা নিতে আমরা বাধ্য। তবে লেনদেনে গ্রাহক আমাদের কাছ থেকেও খুচরা টাকা নিতে হবে।
এদিকে চাঁদপুরের বিভিন্ন ব্যাংকে খুচরা টাকার নোট জমা না নেয়ায় বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকরা। বলতে গেলে ব্যাংকগুলোতে ২-৫-১০-২০, ৫০, ১০০ টাকার নোট অচল হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, প্রতিদিন স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও গ্রাহকরা বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল পরিশোধ করতে বিভিন্ন নোটের বান্ডিল নিয়ে ব্যাংকগুলোতে গেলে ক্যাশ কাউন্টার থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। অধিকাংশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, ব্যাংকের ভল্টের সিন্দুকে টাকা রাখার জায়গা নেই। সোনালী ব্যাংকের ট্রেজারি শাখাতে রয়েছে জনবল সংকট। বাংলাদেশ ব্যাংকে খুচরা টাকা স্থানান্তরে সমস্যা হচ্ছে।
তাই খুচরা টাকা মাঝে মধ্যে জমা নেয়া হয় না। ভল্টে টাকার বেশি চাপ থাকায় গ্রাহকদের ফিরিয়ে দেন তারা।
স্থানীয় অনেক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, প্রতিদিনের বেচাকেনার ছোট টাকার নোটের বান্ডিল ব্যাংকে জমা দিতে গেলে টাকা রাখার জায়গা নেই বলে তাদের ফিরিয়ে দেন ব্যাংক কর্মকর্তারা। ৫-১০,২০-৫০, এমনকি ১০০ টাকার নোটের বান্ডিল নিয়ে ব্যাংকে গেলে ক্যাশিয়ার রেগে যান। ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেন। অনেকে অনেক অনুরোধ করে টাকা জমা দিতে হয়।
খুচরা টাকা লেনদেন-বিড়ম্বনা থেকে চাঁদপুরের গ্রাহকরা রেহাই পেতে চায়। এ ব্যাপারে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। স্থানীয় ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তাদের নিয়ে জেলা প্রশাসকের নিয়মিত যে বৈঠক হয়, সেখানে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ও সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ সচেতন মহলের।

 

সর্বাধিক পঠিত