ইউজিসির পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর
দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর। সোমবার (৫ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-১ শাখার উপসচিব ড. মো: ফরহাদ হোসেন সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন আদেশ, ১৯৭৩ (রাষ্ট্রপতির আদেশ নম্বর-১০/৭৩)-এর সংশোধিত আইন, ১৯৯৮-এর ২ (বি) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আলমগীরকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে চার বছরের জন্য নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ আলমগীর ২০১৯ এর ১৬ জুন প্রথম মেয়াদে ইউজিসির পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান। এর আগে তিনি ২০১০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ২ মেয়াদে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন।।
২০১০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ২ মেয়াদে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর ১৬ জুন ১৯৬৩ সালে চাঁদপুর জেলায় কচুয়া উপজেলা জন্মগ্রহণ করেন।
অধ্যাপক ড. আলমগীর ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে সালে বিএসসি ও ১৯৮৯ সালে এমএসসি সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি জাপানের সাগা ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৯৬ সালে পিএচডি এবং ১৯৯৮ সালে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা শেষ করেন।
১৯৮৬ সালে তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি,খুলনা (বর্তমান খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) এর সিভিল বিভাগের প্রভাষক পদে যোগদান করেন এবং ২০০২ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। তিনি বিভিন্ন মেয়াদে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর বিভিন্ন হলের প্রভোষ্ট, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং ২০০৭-০৯ মেয়াদে সিভিল ইঞ্জিনিয়ায়ং অনুষদের ডীন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আলপার ডজার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স র্যাঙ্কিং-২০২২ এ বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় অধ্যাপক ড. আলমগীর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে কুয়েটে প্রথম, বাংলাদেশে ৬ষ্ঠ আর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এশিয়ার বিজ্ঞানীদের মধ্যে ৭০৮তম স্থান লাভ করেন। এছাড়া ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি ক্যাটাগরিতে তিনি ৪র্থ এবং বাংলাদেশে ১০০তম স্থান অর্জন করেছেন।